বোন আমার,
যখন কোন প্রকৃত মুসলিম ছেলে আপনার দিকে তাকায় না তখন ভাববেন না যে আপনাকে সুন্দর দেখাচ্ছে না বলে তাকাচ্ছে না, সে তাকাচ্ছে না কারন সে আল্লাহকে ভয় পায়।
হয়ত কখনও আপনার দিকে চোখ পড়ে যায়, সে চেষ্টা করে নিজেকে বিরত রাখতে, চোখকে ফিরিয়ে নিতে। কারণ সে আল্লাহ কে ভয় পায়।
কিন্তু আপনি হয়ত জানেনা না যে একজন সুন্দরী মেয়ের দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়াটা তার জন্য কতটা কষ্টসাধ্য। সে তো ফেরেশতা নয় যে শুধু ভাল কাজই করতে পারবে। আল্লাহ তাকে আপনার চেয়ে অনেকগুন বেশী টেস্টোস্টেরণ দিয়েছেন, তাকে টেস্টোস্টেরণ তৈরীর অঙ্গই দিয়ে দিয়েছেন, যা এই ইমোশনাল ড্রাইভকে প্রভাবিত করে। এ কারণে আল্লাহর এই হুকুম পালন করতে গিয়ে সে একটা মানসিক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। একজন নারীর অসমতল দেহ চোখে পড়লে, তার মস্তিস্কের অবচেতন অংশ চেষ্টা করে তার সচেতন মস্তিস্কের উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে। মনের অজান্তেই চোখ তার (নারীর) দিকে চলে যেতে চায়। তবু সে (প্রকৃত মুসলিম ছেলে) অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যায় যেন তার চোখকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং মনে মনে আশা পোষণ করতে থাকে যে একদিন আল্লাহ মনোনীত পন্থা বিয়ের মাধ্যমেই সে তার চোখকে শীতল করতে পারবে, তার অবচেতন মনকে সচেতন কিন্তু নিয়ন্ত্রিত ভাবে প্রশমিত করতে দিতে পারবে।
বোন আমার,
আপনি হয়ত ভাবছেন আপনি কি পোষাক পড়বেন, আপনি পর্দা করবেন কি করবেন না সেটা নিয়ে ছেলেদের এত মাথা ব্যাথা কেন? উপরে আমি যে বললাম উক্ত মুসলিম ছেলেটি একটি মানসিক যুদ্ধে থাকে। এই যুদ্ধে তাকে অবিরাম জয় পরাজয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। জয়ী হলে সে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে, পরাজিত হলে অনুশোচনা তাকে কুরে খায়। (লক্ষ্যনীয়, আপনার টেস্টোস্টেরণ কম থাকায় আপনার কিন্তু এরুপ কোন যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যেতে হয় না) অধিকন্তু এদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা বিয়ে করার মাধ্যমে তার মনকে প্রশমিত করার পদ্ধতি গ্রহন করেনি। অথচ আপনি যদি এমন পোষাক পরিধান করেন যা আপনার অসমতল শরীরকে সমতল ও অনাকর্ষণীয় করে দেয় তখন তার জন্য এই মানসিক যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন কমে যায়। (আর আল্লাহ নির্ধারিত পদ্ধতিতে পোষাক পরিধান করে আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জনের ব্যাপারটাতো আছেই)। আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন, সেই সকল ছেলেরাই আপনার পর্দার ব্যপারে সচেতন করতে চায় যারা সবসময় আল্লাহর হুকুম মেনে চলতে চেষ্টা করে। যারা আপনার দিকে তাকিয়ে নিজের মনের আকাঙ্খা নিবৃত্ত করে তারা কিন্তু আপনাকে এই ব্যাপারে বলে না।
বোন আমার,
একজন মুসলিম ছেলে যদি নিজের ও তার বোনের কল্যানের জন্য পর্দার কথা বলে তার বোনকে কষ্ট দিয়ে থাকে তবে সেই সকল ভাইদের পক্ষ থেকে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। অথচ এই ছেলেদেরকেই আপনার প্রয়োজনের সময় দেখবেন আপনার সঙ্গে কথা বলছে সম্মান রেখে। এই ছেলেটিকেই আপনার নিরাপত্তার জন্য সবার আগে স্বর উচ্চৈ: করতে দেখবেন।
বোন আমার,
ফেসবুকে বসে অবৈধ কথোপকথন, আড্ডায় বসে অপ্রয়োজনীয় হাসাহাসি, প্রেমের নামে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন থেকে বিরত থাকতে এই যুবকেরা আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছে। আপনাদের সুন্দর সৌষ্ঠব নয়, আপনাদের ব্যাক্তিত্বকে সাথে নিয়ে তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির দিকে মার্চ করতে চাইছে। আপনারা কি পারবেন না আপনাদের এই বিশ্বাসী বন্ধুদের কে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে সহযোগিতা করতে?
“বিশ্বাসী পুরুষ ও বিশ্বাসী নারী একে অপরের বন্ধু। তারা ভাল কাজের নির্দেশ দেয় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে, তারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আনুগত্য করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের। এদেরই উপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ করবেন।” (আত-তওবা ৯:৭১)
Leave a Reply