যে কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণার একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তা কিছু মৌলিক ধারণাকে ( Basic Assumption) ভিত্তি করে অাগায়। বিবর্তনবাদী গবেষণার ক্ষেত্রে যে মৌলিক ধারণার ভিত্তিতে পরীক্ষা নিরিক্ষা এগিয়ে চলে তার মধ্যে অন্যতম প্রধান হল: ‘হোমোলজি’ অর্থাৎ প্রজাতিতে একই ধরণের অঙ্গ থাকাটাই প্রমাণ করে যে তারা একই পূর্বপুরুষ (common ancestor) থেকে এসেছে।
লক্ষ্য করুন, ধারণাটি নিজে কিন্তু সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি। সুতরাং, হোমোলজির উপর ভিত্তি করে কমন এনসেস্ট্রি দাবি করাটা এক ধরণের চাক্রিক যুক্তি।
কেননা, দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন শারিরীক গঠন সম্পন্ন প্রাণীতেও হুবুহু একই ধরণের অঙ্গ থাকতে পারে। যেমন: মানুষ ও অক্টোপাস-এর চোখ একই রকম। অথচ, দুটো যথাক্রমে মেরুদণ্ডী ও মলাস্ক পর্বের অন্তর্গত।
তাহলে দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন শারিরীক পরিকল্পনা (Body Plan)-এর প্রাণীর মধ্যে একই ধরনের বৈশিষ্ট অাসল কিভাবে?
মজার বিষয় হল এ সমস্যাটি এড়িয়ে যাবার জন্য তারা অভিনব একটি টার্ম ব্যবহার করে, যার নাম ‘কনভারজেন্ট’ বিবর্তন। অর্থাৎ মানব চোখের মত সবচেয়ে জটিল গঠন বিশিষ্ট চোখ দুবার পৃথকভাবে বিবর্তিত হয়েছে! একবার অক্টেপোসে, আরেকবার মানুষে।
বিবর্তনবাদীদের জিগ্যেস করেন, কিভাবে? তাদের ঘুরানো প্যাঁচানো উত্তরটার মূল কথা হবে: এলোপাতারি মিউটেশনের ফলে সৃষ্ট প্রজাতির বৈচিত্রের (Variation) প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে!
যেখানে এলোমেলো মিউটেশনের মাধ্যমে একটি ভিন্ন কাজের প্রোটিন তৈরি হওয়া সম্ভব না, সেখানে জটিল চোখ দুবার এসেছে? (ওহে কলাবিজ্ঞানী) অাপনি কি আমাদের পাগল পেয়েছেন যে আপনি ইচ্ছেমত রুপকথার গল্প ফেঁদে বিজ্ঞানের আবরণে পরিবেশন করবেন আর আমরা তা ঢকঢক করে গলা দিয়ে নামিয়ে দিব?
তারা যে শুধু কনভারজেন্ট বিবর্তন বলে থেমে গেছে তাই নয়, তারা দুটো ভিন্ন পর্বের প্রাণীতে একই ধরনের অঙ্গ থাকার ব্যপারটিকে বলছে হোমোপ্লাসি।
অর্থাৎ বিবর্তনবাদ হল পানির মত, যে পাত্রে নিবেন সেই পাত্রের আকার ধারণ করবে, এমনকি যে কোন গ্যাপে রাখলে গ্যাপ পূরণ করে দিবে। একে বলে ‘Evolution of the gaps’ যুক্তি। অর্থাৎ, কোন প্রজাতির বৈশিষ্ট্য বিবর্তনীয় প্রক্রিয়ায় ব্যাখ্যা করতে না পারলে উক্ত গ্যাপে বিবর্তনকে বসায় দেন, ব্যস, আপনি অনেক বিজ্ঞান করে ফেললেন। অার, হয়ে গেলেন পুরোদস্তুর কলাবিগ্যানী!!
এবার আপনাকে নোবেল দেয়া হোক!
Leave a Reply