#বুক রিভিউ: আরিফুল ইসলাম-এর ‘আর্গুমেন্টস অব আরজু’

আমি জীবনে উপন্যাস পড়েছি খুব কম। ইন ফ্যাক্ট ছোটবেলা থেকে কয়টা ফিকশন পড়েছি তা হয়ত হাতে গোনা যাবে। হুমায়ুন আহমেদ বাংলা সাহিত্যে যে নতুন লেখনশৈলীকে জনপ্রিয় করেছেন তার একটি সুবিধে হল খুব সহজেই আপনি গল্পের ভিতর ডুবে যেতে পারবেন। আপনার কল্পনার দৃশ্যপটে গল্প এগুতে থাকবে যতক্ষন বইটি শেষ না হয়।

অনেকে হয়ত বলবেন হুমায়ুন আহমেদ বা জাফর ইকবাল বা গল্প-উপন্যাসের অন্যান্য লেখকরা তাদের রচনার মধ্য দিয়ে সিম্পলি আনন্দ দিতে চেয়েছেন। কিন্তু, আমার কাছে মনে হয়েছে তাদের রচনার মধ্য দিয়ে তারা পাঠকদের সাবকনসাস মাইণ্ডে তাদের চিন্তা চেতনাও ঢুকিয়ে দিয়েছেন।   

অর্থাৎ গল্পাকারে আপনার বক্তব্য উপস্থাপন করার উপকারীতা আছে। 

সবার যুক্তিবোধ সমান নয় । কেউ অল্পতেই নাস্তিকদের একটি আউট-অব-কনটেক্স বক্তব্য ও কুযুক্তিতে বিভ্রান্ত হতে পারে। আবার কেউ হয়ত বিষয় সহজেই ধরতে পারে। 

বর্তমানের অধিকাংশ তরুণদের ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা ধর্ম বই পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। অন্যদিকে, নাস্তিকদের বিভ্রান্তিমূলক অ-যুক্তি ও কু-যুক্তিদিয়ে ইন্টারনেট ভরপুর। তার ফলে ইসলাম ও সর্বপরী আল্লাহতে বিশ্বাস সম্পর্কে বিভ্রান্তী চলে আসা খুব সহজ। এ বিভ্রান্তি নিরসনে গল্পাকারে একটির যুক্তির পটভূমি তৈরী  উপস্থাপনের এই পদ্ধতিটি আমার কাছে বেশ কার্যকরী মনে হয়েছে।

আরিফুল ইসলাম লিখিত আর্গুমেন্টস অব আরজু উক্ত ধরনের আরেকটি চমৎকার বই। লেখক অনেকেই হয়, কিন্তু গল্প লেখার হাত সবার ভাল হয় না। গল্প লেখার ক্ষেত্রে আরিফের মুন্সিয়ানার তা’রিফ করতেই হয়। আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দিন।


আমার কাছে বইটির শক্তি ও দুর্বলতা হিসেবে যে পয়েন্টগুলো মনে হয়েছে-

শক্তি-

  • নাস্কিকদের বেশ কিছু অযুক্তির সহজবোধ্য খণ্ডন
  • বিভিন্ন রেফারেন্সের উপযুক্ত ব্যবহার
  • সুন্দর নীলাভ পৃষ্ঠার নতুনত্ব

দুর্বলতা-

  • গল্পের ফাইনাল এডিটিং এর সময় উপস্থাপিত তথ্যের ক্ষেত্রে এবং বাক্যের বিন্যাসের ক্ষেত্রে কয়েকবার রিভিউ করে নেয়া দরকার যেন ছোট খাটো ভুলও না থাকে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *