নারী ও পুরুষের পার্থক্য (বিজ্ঞানের আলোকে)

এই লেখাটি একজন ভাইয়ের পুরুষ-নারী সমতা শীর্ষক একটি লেখা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লিখেছিলাম। লেখাটিতে উক্ত ভাইয়ের লেখা থেকে কিছু অংশ উদ্ধৃতি হিসেবে এসেছে। তাকে এখানে জনাব ‘ক’ হিসেবে উল্লেখ করা হলো। এছাড়া নিবন্ধটিতে নেটে ঘাঁটাঘাঁটি করে বিভিন্ন লেখা থেকে কোট করা হয়েছে বেশী। তবে সেগুলোকে গুছিয়ে মূল বক্তব্যটিকে স্পষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। (উদ্ধৃতির এমফ্যাসিসগুলো আমার দেয়া)

………………….

জনাব ‘ক’ বলেছেন- ‘কাজের ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের মধ্যে আমি কোন পার্থক্য দেখিনি। আমার টিমে বেশ কয়েকজন নারী সফটওয়্যার ডেভেলপার ছিল। তারা তাদের পুরুষ সহকর্মীদের চেয়ে কোন অংশেই কম ছিল না। বরং অনেকে পুরুষদের চেয়ে ভালো ছিল।’

এখানে একটি সমস্যা হল- কয়েকজন নারীকে দেখে একটি জেনারেলাইজড আইডিয়া নিয়ে নেয়া হয়েছে। অনেকবছর ধরেই ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে ছেলে ও মেয়ে কোন বিভেদ নেই, তথাপি মেয়েরা ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এত কম যাচ্ছে কেন?  বাংলাদেশ বাদ দিয়ে আমরা পাশ্চাত্য নিয়ে অনুসন্ধান করে দেখতে পারি।

In USA: The percentage of female graduate students in engineering in 2001 was 20%. Doctoral degrees awarded to women in engineering increased from 11.6% to 17.6% of total degrees awarded between 1995 and 2004.  The workforce remains as the area of highest under representation for women; only 11% of the engineering workforce in 2003 were women. In Australia, Only 9.6% of engineers in Australia are women, and the rate of women in engineering degree courses has remained around 14% since the 1990s. (Source: en.wikipedia.org/wiki/Women_in_engineering)

The number of male engineering graduates rose by 11% from 2004 to 2009, while the number of female engineering graduates actually fell by 5.2% over the same period, according to the National Center for Education Statistics. In 2009, the percentage of undergraduate degrees from engineering schools that went to women hit 17.8%, a 15-year low, according to the American Society of Engineering Education.”

“Meanwhile, women are more attracted to engineering disciplines such as biomedical and environmental engineering than computer science. While 44% of environmental science majors and 37% of biomedicine majors were women in 2009, just 10.5% of computer-science graduates from engineering schools were women, according to the ASEE.” “Women are drawn to fields where the social relevance is high,” said C. Dian Matt, executive director of the group, Women in Engineering Pro Active Network. (Source: http://it-jobs.fins.com/Articles/SB130221786789702297/Women-Engineering-Graduates-at-15-Year-Low)

অন্য সকল নারীবাদীদের মতই মনে আসতে পারে যে, এর কারণ হল সামাজিক চাপ। অর্থাৎ নারীদেরকে নির্দিষ্ট দিকে সামাজিকভাবে প্রভাবিত করা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হল- গত ১০০ বছর যাবত পাশ্চাত্যে নারীরা শিক্ষার দিক দিয়ে পুরুষদের সমান অধিকার লাভ করা সত্যেও এ অবস্থা কেন? বরং ইন্জিনিয়ারিং মেয়েরা এত কম কেন সেই প্রশ্নকে সামনে রেখে অনেক নারীদের অবস্থা উন্নয়ন কেন্দ্রিক ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।

আবারা বলা যেতে পারে, মেয়েদের গ্র্যাডুয়েশন-এর হার কম হওয়ার কারণে তাদের ইন্জিনিয়ারিং-এ কম দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে গ্র্যাডুয়েশন এর হারের দিকে তাকালে দেখা যায়, পশ্চিমা দেশগুলোতে মেয়েদের গ্র্যাডুয়েশন-এর হার, ছেলেদের তুলনায় বেড়ে গেছে। গ্র্যাডুয়েশন থেকে ছেলেদের ড্রপ আউট রেট বেশী।  ইকোনোমিস্ট পত্রিকার রিপোর্ট বলছে Organization of Economic Co-operation and Development(OECD)-এর হিসেব অনুযায়ী এর অন্তর্ভূক্ত ৩৪টি দেশের মধ্যে ৩২টিতেই মেয়েদের সেকেণ্ডারী এডুকেশন শেষ করার হার বেশী।

‘MORE girls than boys now complete their secondary education in 32 of the 34 countries that are members of the OECD, a think-tank, according to a new report published today’ (Source: http://www.economist.com/blogs/dailychart/2011/09/female-graduation-rates)

ইউএসএ-র হাইয়ার সেকেণ্ডারী এডুকেশন এনালিস্ট টম মর্টেনসন দেখান:

‘In the fall of 2000 there were 5,578,000 men and 7,377,000 women enrolled in college as undergraduates.  In 1969 there were 4,008,000 men and 2,876,000 women undergraduate students enrolled in college.  Between 1969 and 2000 the number of men undergraduates increased by 1,570,000 or by 39 percent.  During this period the number of women undergraduates increased by 4,501,000 or by 157 percent.’

‘Between 1975 and 2001, the number of bachelor’s degrees earned by men increased by 26,999 (from 504,841 to 531,840), or by 5 percent.  During the same period the number of bachelor’s degree earned by womenincreased by 294,239 (from 418,092 to 712,331), or by 70 percent.  Of the total increase in bachelor’s degrees awarded during this period (321,238), 8 percent was earned by males and 92 percent was earned by females.  (National Center for Education Statistics)’

‘Bachelor’s degree completion:  Among 25 to 29 year olds the 2001 rate for males was 27.9 percent compared to 30.1 percent for females.  Females surpassed males in 1991. (Census Bureau)’ (Source: http://www.postsecondary.org/archives/previous/GuysFacts.pdf)

এখন বরং, কেন ছেলেদের ড্রপ আউট বেশী হচ্ছে মেয়েদের গ্র্যাজুয়েশন বেশী হচ্ছে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। কেউ কেউ বলছেন, জেনডার ডিসক্রিমিনেশন এর কথা বলে ছাত্রীদের জন্য এখনও বিভিন্ন ওমেন সেন্টার, ওমেনস মুভমেন্ট ইত্যাদি বজায় থাকায় ছাত্ররা যে কবেই যত্ন ও গাইডেন্স-এর আড়ালে চলে গেছে তা কেউ লক্ষ্যই করেনি। আমেরিকার পড়ালেখার উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠিত American Council of Trustees and Alumni(ACTA) নামক একটি অলাভজনক সংগঠন তরুন ছেলেদের এই অবস্থা নিয়ে আক্ষেপ করছে এভাবে-

A generation of young men is losing out in a very big way. But there is no real outrage as higher education becomes a feminized system. Indeed, the outrage is still running the other way–we hear continually about the marginalization of women in the academy, and the difficulties women students face. The question of why there are so few women in the hard sciences draws impassioned debate, urgent calls for equity, and lots and lots of money. But the question of why young men are disappearing from campus is not even being widely asked. And it certainly isn’t being studied systematically. It should be, and Margaret Spellings has the power to ensure that it is.’ (Source: http://www.goactablog.org/blog/archives/2005/09/#a000077)

এটা অবশ্য ভিন্ন আলোচনার বিষয়। আমি যেটি বলতে চাচ্ছি তা হল- দুটো রিপোর্ট তুলনা করলে দেখা যায় মেয়েদের গ্র্যাডুয়েশন বাড়ছে, কিন্তু তাদের ইন্জিনিয়ার হওয়ার হার কমে যাচ্ছে, ফলে ওভার অল ইন্জিনিয়ার কমে যাচ্ছে।  প্রকৃতপক্ষে এর একটি সুস্পষ্ট সাইকোলজিকাল ও বায়োলজিকাল কারণও আছে-

Female brains tend to process information verbally and arrive at decisions more quickly through discussion.  Male brains tend to process information internally and prefer not to discuss the situation aloud until they have arrived at a solution.”(Source:  http://www.hendricksonbusinessadvisors.com/newsletter/articles/malevfemale.asp)

এ প্রসঙ্গে Dr. Louenn Brizendine, যিনি আমেরিকার বিখ্যাত নারী নিউরোসাইকিয়েট্রিস্ট এবং ‘The Female Brain’ নামক Best-Seller-এর লেখিকা, তার বইয়ে বলেন:

 “We now know that when girls and boys first hit their teen years, the difference in their mathematical and scientific capacity is non existent.  But as estrogen floods the female brain, females start to focus in tensely on their emotions and on communication—talking on the phone and connecting with their girl friends at the mall. At the same time, as testosterone takes over the male brain, boys grow less communicative and become obsessed about scoring—in games, and in the backseat of a car. At the point when boys and girls begin deciding the trajectories of their careers, girls start to lose interest in pursuits that require more solitary work and fewer interactions with others, while boys can easily retreat alone to their rooms for hours of computer time.” (Source: Dr. Louenn Brizendine, The female brain, page: 7)

আসুন দেখি তো জনাব ‘ক’-এর নিচের কথাগুলোর কারণটা উপরের উদ্ধৃতিতে খুঁজে পাওয়া যায় কিনা?

“ছেলে-মেয়ে দুইজনকে দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি আসলে ছেলে-মেয়ের মধ্যে পার্থক্য কতটুকু বা কোথায় কোথায়। মেয়ে শুরু থেকেই তার ক্লাসে সবগুলো সেকসন মিলে প্রথম হয়ে আসছে। তার পড়াশোনার জন্য আমাদের সময় দিতে হয় খুব কম। নিজের পড়া নিজেই পড়ে, এখন বড় ক্লাসে, তাই মাঝে মাঝে অংক বা বিজ্ঞানের কিছু কিছু বিষয় আমার কাছে বুঝতে আসে। ছেলে তার বোনের চেয়ে ছোট। সেও ক্লাসে প্রথম হয়। তবে দুই-একবার দ্বিতীয়ও হয়েছে। পড়াশোনায় সেও খুব ভালো। এখনও পর্যন্ত নিজের পড়া নিজেই তৈরী করতে পারে। তবে সে পড়ার সময় স্ত্রীকে তার পাশে বসে থাকতে হয়। তা না হলে সে পড়তে পড়তে খেলে। তার খেলাগুলো হচ্ছে মিস্ত্রিজাতীয় খেলা। খেলনার মোটর খুলে খুলে ছোট জেনারেটর বানানো, সোলার সেল দিয়ে এলইডি জ্বালানো, ইন্টারনেট দেখে ছোটখাটো ইলেকট্রনিক সার্কিক বানানো – এসব নিয়ে সে অবসরে ব্যস্ত থাকে। লেখালিখিতেও দুইজনের রয়েছে সমান আগ্রহ এবং দক্ষতা”।

ম্যাটেরিয়ালিস্ট ফেমিনিস্টরা বলে থাকেন: “মেয়েরা যদি ছেলেদের চেয়ে কম মেধাসম্পন্ন হয়ে থাকে, তাহলে আমার মেয়ে ক্লাসের বাকী দেড়শ ছেলের চেয়ে ভালো রেজাল্ট করে কি করে? অনেকে বলার চেষ্টা করেন, ছেলেদের লজিক্যাল ব্রেন মেয়েদের তুলনায় ভালো। এই ধারণার কোন প্রমাণও আমি পাইনি। আমার সাথে যেসব মেয়েরা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তো, তাদের অনেকেরই রেজাল্ট ছেলেদের চেয়ে ভালো ছিল। তাছাড়া যে মেয়েটি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে তার লজিক্যাল ব্রেইন একজন সাহিত্যের ছাত্রের চেয়ে বেশী হবে- এটাই ধরে নেয়া যায়”।

আসুন দেখি রিসার্চ কি বলে:

“On the “Truth About Boys and Girls” segment of NBC Nightly News, researchers indicate that men and women differ in their recall of emotional events. When discussing their wedding, Dick and Madeline Neuman exhibited some clear differences. Dick remembered the basic events, picking her up, going through the ceremony, having a reception and taking off. However, Madeline’s memory was much more detailed, they were married really early in the morning, their car was full of balloons and her veil caught on fire at the reception.”

“The human brain is comprised of both gray matter, which represents information processing centers, and white matter, which works to network these processing centers. In a new study, UC-Irvine psychology Richard Haier found that men have 6.5 times the amount of gray matter than women. However, women have almost 10 times the amount of white matter. “These findings suggest that human evolution has created two different types of brains designed for equally intelligent behavior,” said Dr. Haier. He added that this also explains why men are generally better at tasks involving localized processing like mathematics, whereas women generally excel at integrating and assimilating tasks like language.

In a 2006 study at the Institute of Evolutionary Biology in Edinburgh, researchers found that men were better than women at remembering the locations of objects, accessing both visual and location information. It seemed that the women relied on landmark or feature cues, while men accessed more abstract cues like geometrical properties of the environment and compass directions. Another study by psychologists Agneta Herlitz and Jenny Rehnman in Stockholm, Sweden confirmed that men were more likely to “find their way out of the woods” than women. The men outperformed women in visuo-spatial processing, they concluded.

In July 2008, researchers at the Institute of Psychiatry, King’s College London posited that there males use different genes from females when creating long-term memories. This may account for why men are better at remembering tactical memories like trivia and travel directions. Furthermore, men have a larger parietal cortex, which explains why they are generally better with space perception, balance and recognition memory.

Psychologists Agneta Herlitz and Jenny Rehnman in Stockholm, Sweden found that women excelled at episodic memory, recalling words, objects, scents and faces better than men. Verbal recall is usually better in women because of their enlarged hippocampus region, researchers conclude. Memories that are verbal in nature, whether spoken, heard or written, are easily processed by women.

They were also better at finding the location of car keys, which requires both verbal and visuospatial processing.Since a girl’s corpus callosum (the bridge between different hemispheres of the brain) is up to 25 percent larger than a boy’s, women are better able to recall these memories involving various storage centers in the brain. They also have stronger neural connectors in their temporal lobes, which enables them to listen better, pick up on non-verbal communication cues (like tone of voice) and recall sensual details better than men.

A Harvard Medical School study concluded that parts of the frontal lobe (the decision making center) and limbic cortex (which regulates emotion) are larger in women, compared to their male peers. This may also account for why women remember emotionally-charged incidents–weddings, birthdays, accidents–in more vivid detail than men. (Source: http://www.ehow.com/about_5244222_difference-between-boys-girls-memory.html)

এখানে বোঝা দরকার যে, মেধা ছেলে ও মেয়ে উভয়ের মাঝেই কম বেশী হতে পারে। তবে ব্রেইনের একটা নির্দিষ্ট গঠন আছে যা বলে দেয় যে ছেলে এবং মেয়েটা কোন দিকে ভাল করবে। যে কাজ গুলোতে একাকী থাকা দরকার, চিন্তাভাবনা দরকার সেটায় ছেলেটা ভাল করবে এবং যে কাজে যোগাযোগ তথা ইন্টারেকশন দরকার সেটায় মেয়েটা ছেলেটার চেয়ে ভাল করবে। (ব্যাতিক্রম আছে, ব্যতিক্রম কখনই উদাহরণ নয়)

সুতরাং  মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার দিক থেকে নারী ও পুরুষ কেউ কারো থেকে সবদিক দিয়েই কম বা বেশী নয়। একেকজনের একেকটা দিক বেশী ডেভেলপড, মানুষভেদে কিছুটা ওভার‍ল্যাপও আছে। একজন মানুষের, সে নারী হোক বা পুরুষ হোক, তার দক্ষতা, যোগ্যতা, মানসিকতা ও গুণাবলীর একটি অংশ নির্ভর করে সে কোন পরিবেশে বেড়ে ওঠে, কোন শিক্ষায় শিক্ষিত হয়, তার উপর এবং আরেকটি বড় অংশ নির্ভর করে তার নিজস্ব বায়োলজি এবং সাইকোলজির উপর। কেননা বায়োলজিকে আপনি জীবন থেকে আলাদা করতে পারবেন না। পুরুষরা সেক্সুয়ালী বেশী একটিভ এবং তারা বেশী স্টিমুলেটেড হয় এবং এর প্রভাব তার কাজের উপর পড়বে এটাই স্বাভাবিক। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য:

মানুষের যৌন তাড়ণা নির্ভর করে ‘টেস্টোস্টেরণ’ হরমোনের উপর যা এক ধরণের ‘অ্যান্ড্রোজেন। পুরুষদের এই হরমোন তৈরীর আলাদা অঙ্গই আছে যা হল টেষ্টিস বা অন্ডকোষ। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরণ তৈরী হওয়ার কোন অঙ্গ নেই । যতটুকু যৌন তাড়না নারীদের আছে তা তাদের এড্রেনাল কর্টেক্স এর জোনা ফ্যাসিকুলাটা থেকে নি:সৃত এন্ড্রোজেন এর কারণে। এজন্য নারীদের যৌন তাড়না পুরুষের চেয়ে অনেক কম।

“Men have on average ten to one hundred times more testosterone than women.” (Source: Dr. Louenn Brizendine, The Female Brain, page: 89)

একজন সেক্সুয়ালি একটিভ নারীর দিনে সর্বচ্চো ৪ বার যৌন তাড়না জাগ্রত হতে পারে। কিন্তু একজন পুরুষ যে সেক্সুয়ালী সবচেয়ে লেস একটিভ তারও দিনে অনেকবার বেশী যৌন চিন্তা জাগ্রত হতে পারে-

“Sexual thoughts float through a man’s brain many times each day on average, and through a woman’s only once a day. Perhaps three to four times on her hottest days.” (Source: Dr. Louenn Brizendine, The Female Brain, page: 5)

We also know that men have two and a half times the brain space devoted to sexual drive in their hypothalamus. Sexual thoughts flicker in the background of a man’s visual cortex all day and night, making him always at the ready for seizing sexual opportunity. Women don’t always realize that the penis has a mind of its own—for neurological reasons.” (Source: Dr. Louenn Brizendine, The Male Brain, page:  24)

ব্রেইনের সেক্সুয়াল ট্রিগার সেন্টার একটিভ হওয়ার ক্ষেত্রেও নারী পুরুষে ভিন্নতা আছে। একবার যৌনমিলন-এর জন্য একজন নারীর মেন্টাল প্রস্তুতি নেয়ার প্রয়োজন হয় । সে তখনই অর্গেজম এ যাবে যখন সে দেখবে তার পুরুষ পার্টনার তার সাথে একটা কমিটেড রিলেশনশিপে আছে, তার পার্টনার তাকে সিকিউরিটি দিতে পারছে। সেক্সুয়ালী একটিভ হওয়ার জন্য তাকে রিল্যাক্সড স্টেটে থাকতে হয় । একজন পুরুষের ক্ষেত্রে ব্যপারটি ঠিক উল্টো। সে যত বেশী stressed, anxiety এর মধ্যে থাকে তত বেশী সে সেক্সূয়ালী একটিভ থাকে। (Source: The Female Brain, page 78)

Female sexual turn-on begins, ironically, with a brain turn-off. The impulses can rush to the pleasure centers and trigger an orgasm only  if the amygdala—the fear and anxiety center of the brain—has been deactivated. Before the amygdala has been turned off, any last-minute worry—about work, about the kids, about schedules, about getting dinner on the table—can interrupt the march toward orgasm.” (Source: Dr. Louenn Brizendine, The Female Brain, page: 77)

এ কারণে মাল্টি টাস্কিং একজন মেয়েকে সেক্স্যুয়ালী একটিভ হতে বাধা দেয়।

“Multitasking women end up having more distractions, which occupy their brain circuits and get in the way of sexual desire. Three months after she took a new job that required long hours, another patient of mine began having trouble reaching orgasm. She didn’t have any downtime to relax with her husband, and she began faking orgasms to keep from hurting his ego. The worries and tension of her new job were interfering with her ability to relax, feel safe, and allow her amygdale to deactivate.” (Source: Dr. Louenn Brizendine, The Female Brain, page: 82)

একজন পুরুষের শরীরের গড়ন নারীর জন্য কোন সেক্সুয়াল স্টিমুলাস নয়। বরং নারীর মাথায় কখনই প্রথমে সেক্স আসে না। একজন নারী ও পুরুষকে একসাথে বসে গল্প করতে দেখলে একজন নারী প্রথম দেখায় এদের কে বন্ধু মনে করবে। কিন্তু একজন পুরুষ তাদেরকে দেখে একটা ‘kiss’ anticipate করতে থাকবে। একজন নারীর অসমতল অবয়ব একজন পুরুষের জন্য সেক্সুয়াল ট্রিগার হিসেবে কাজ করে। পুরুষ Stimulated হয়, vision, smell, touch দ্বারা যতক্ষণ তার টেস্টোস্টেরণ সার্জ অব্যাহত থাকে, নারী Stimulated হয় শুধু মাত্র স্পর্শ দ্বারা। (এ সম্পর্কে আরেকটু বেশী জানতে আমার এই নোটটি পড়তে পারেন: সেক্সুয়াল ডিজায়ার কি টেস্টোস্টেরণ দ্বারা প্রভাবিত? নারী ও পুরুষের যৌনতার মাত্রা কি একই রকম?)

আমারতো মনে হয়, এক দিকে পুরুষের বায়োলজিক্যালী স্বাভাবিক ও বেশী সেক্সুয়াল একটিভিটি এবং অন্য দিকে নারীদের কার্যত উলঙ্গ চলাফেরাই পাশ্চাত্যে পুরুষ গ্র্যাজুয়েশন ড্রপআউট বেশী হওয়ার কারণ।

এছাড়া-ও উপরের পয়েন্ট গুলো ব্যাখ্যা করছে, কেন ইসলাম পর্দার হুকুম জারি করেছে, কেন পুরুষদের একাধিক বিয়ের অনুমতি আছে, কেন নারীদের পর্দা করতে বলা হয়েছে এবং নারীদের সংসার দেখাকে কেন উৎসাহ দেয়া হয়েছে ও নারীদের কেন তার স্বামীর যৌন আকাঙ্খা পুরণে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। উপরের বিষয়গুলো বৈজ্ঞানিক। মেনে নেয়া বা না নেয়া সচেতনতার ব্যাপার।

একটা বিষয় লক্ষ্য করুন, নারী ও পুরুষের সমতার যে তর্ক, তার কারণটা কিন্তু আমাদের ‘মাপকাঠি’র সাথে সম্পর্কিত। একজন নারীর পুরুষ হয়ে উঠতে পারছে কিনা সেটাই যেন আমাদের মানদন্ড। অথচ নারীকে মাপতে হবে নারীত্বের মাপকাঠিতে আর পুরুষকে মাপতে হবে পুরুষত্বের মাপকাঠিতে। নাহলে নারীর নিজেকে সবসময় ইনফিরিওর মনে হতে থাকবে।  

নারীর কাজে কোন বাধা নেই। আল্লাহর বিধান মেনে কাজ করলে, এটা তাদেরই নিরাপত্তা দেবে।  দুনিয়ায় কে কত বড় হল, কয়টা পুরস্কার পেল, কত টাকা উপার্জন করল এগুলো কখনই প্রকৃত মাপকাঠি নয়। আল্লাহর মাপকাঠি হল তাকওয়া। আর এটার হিসেব আল্লাহ যাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার আলোকেই নেবেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *