জীবনের মিনিং কি? খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।
নাস্তিকতাবাদ অনুযায়ী জীবন অর্থহীন। নাস্তিকদের গুরু রিচার্ড ডকিন্স-এর ভাষায় জীবন সম্পর্কে ম্যাচুর দর্শন হচ্ছে জীবনের কোন মিনিং নাই-
There is something infantile in the presumption that somebody else has a responsibility to give your life meaning and point… The truly adult view, by contrast, is that our life is as meaningful, as full and as wonderful as we choose to make it.”
― Richard Dawkins, The God Delusion
অর্থাৎ, যদি নাস্তিকতাবাদ সত্য হয়, তাহলে:
We are machines built by DNA whose purpose is to make more copies of the same DNA. … This is exactly what we are for. We are machines for propagating DNA, and the propagation of DNA is a self-sustaining process. It is every living object’s sole reason for living
-Richard Dawkins, Royal Institution Christmas Lecture, ‘The Ultraviolet Garden’, (No. 4, 1991)
আমি ভাবছিলাম জীবন সম্পর্কে হতাশ একটা ছেলে বা মেয়ে, যার আত্মহত্যার প্রবণতা আছে, নাস্তিকতাবাদ তাদের কে কিভাবে কাউন্সিলিং করবে?
এক, যদি উক্ত ডিপ্রেশনের রোগীর হতাশা এই জন্য এসে থাকে যে যে অর্থনৈতিক ভাবে ভাল করতে পারছে না তাহলে, নাস্তিকতাবাদ তাদের সম্পূর্ণ বস্তুবাস্দী দৃষ্টিকোন থেকে বুঝাতে পারে যে, হতাশ হওয়ার কিছু নেই, কারণ অনেকেই জীবনের প্রথম পর্যায়ে কিছু না করেও পরে সফল হয়েছে। আর যদি ডিপ্রেশন অন্য কোন কারণে হয়? যেমন, ধরুন ‘জীবনের মিনিং কি?’ এই প্রশ্নের অনুসন্ধান করতে গিয়ে কেউ যদি হতাশ হয়ে ভাবে যে জীবন অর্থহীন অতএব এ জীবন সে রাখবে না?
দুই, নাস্তিকতাবাদ, নিজের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি অসৎ থেকে মিথ্যা বলতে পারে যে, জীবনের আসলে মিনিং আছে। ভাল কাজের ফল মৃত্যুর পর পাওয়া যাবে। নাস্তিকতাবাদ অবশ্য এটা করতে পারে। কারণ নাস্তিক্য মোরাল রিলেটিভিজম অনুযায়ী ‘মিথ্যা’ বলার কোন চূড়ান্ত খারাপ পরিনতি নাই ।
তিন, নাস্তিকতাবাদ তাকে ‘ইউথ্যানাসিয়ার’ পথ বাতলে বলতে পারে ঠিকাছে তুমি যখন মরতেই চাও, তাহলে অজ্ঞান হওয়ার বা মরার ওষুধ নিয়ে শান্তিতে মর।