Md. Abdullah Saeed Khan

অ্যান্টিডট-এর মন্তব্য

তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী পদার্থের এনট্রপি বাড়ে। লোহা ফেলে রাখলে ধীরে ধীরে মরিচা পড়ে ক্ষয় হতে থাকে।  ফেলে রাখলে স্রষ্টায় বিশ্বাসেও মরিচা পড়ে। অযুক্তি, কুযুক্তি এসে ক্ষত সৃষ্টি করে। মরিচা পড়া লোহা ঘষে মেজে পরিষ্কার করতে হয়। সন্দেহযুক্ত ঈমানও ঘষামাজা করলে দৃঢ় হয়। 

সন্দেহ-সংশয় আত্মাকে অন্ধকারের কড়াল গ্রাসে বন্দি করতে চায়। কিন্তু, যার আত্মা নিভু নিভু হয়েও জ্বলছে তাকে কখনও বিভ্রান্ত করা যায় না। অন্ধকার কখনও আলোকে ঢেকে রাখতে পারে না। বরং, সামান্য প্রদীপের আলোই দূর করতে পারে বিস্তৃত আধার। আর, যখন একসাথে অনেকগুলো প্রদীপ জ্বলে উঠে?

গতবছরটি ছিলো বিশ্বাসীদের জ্বলে উঠার বছর। তরুণ লেখক আশরাফুল আলম সাকিফ তেমনই এক প্রজ্জ্বলিত অগ্নি।  

বিষাক্ত পদার্থ যখন শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়ে, অ্যান্টিডোট দিয়ে প্রশমিত করতে হয়। তাই চিকিৎসাবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম নিয়ে এসেছেন বিশ্বাসীদের ধমনীতে ছড়িয়ে পড়া অবিশ্বাসের অ্যান্টিডোট।

বিবর্তন, মানবভ্রুন সম্পর্কিত কোরআনের ইঙ্গিত, মহামারীর ইসলামী সমাধান ইত্যাদি বৈচিত্রপূর্ণ বিষয়ে লেখক অনেক তথ্যপূর্ণ বিশ্লেষণ লিপিবদ্ধ করেছেন ফাতিমার জবানবন্দিতে। এই অ্যান্টিডোট হোক অসংখ্য অসুস্থ আত্মার সুস্থতার অন্যতম বাহন। এই প্রত্যাশায়…

মো: আবদুল্লাহ সাঈদ খান
চিকিৎসক

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top