আমার দুখিনী মা

সেদিন বিকেলে দেখেছিনু নীলে

পাখিদের ঘরে ফেরা

তুমি পাশে ছিলে দুজনায় মিলে

পেয়েছি স্বপ্নে ঘেরা

অনুভুতি এক রাশ,

তুমি নেই পাশে শূন্যতা এসে

আজ সবই ইতিহাস।

ভেবেছ রতন করেছ যতন

দিবা নিশি সারাবেলা,

করেছ স্মরণ মম আমরণ

যায় কি স্মৃতি সে ভোলা?

অন্তরে করে বাস

কেন চলে গেলে মোরে একা ফেলে

সব সুখ করে গ্রাস?

দু:খ পাওনি- যদি বা খাওনি

এক দিন এক রাত,

বুঝতে দাওনি সজল চাওনি

একলা সয়ে আঘাত

নিরবে ফেলেছ শ্বাস,

সেই কথা স্মরে কাঁদি প্রাণ ভরে

কেটে যায় বার মাস।

যদি দেখি ফিরে, অগাধ তিমিরে

নিয়ে সব দিয়ে লাথি

কত ব্যাথা দিনু কত কি চাহিনু

তবু মম করে সাথী

আপন করেছ বুকে।

সব্ ব্যথা ভুলে, নিলে কোলে তুলে

জানি না কোন সে সুখে?

আজ তব পাশে তোমার সকাশে

বসে রইলাম আমি,

আজ তব গোরে কাঁদবো অঝোরে

“হেরী অন্তর্যামী!

ক্ষমা করো মম মা’কে।

তব কৃপা দিয়ে জান্নাতে নিয়ে

চির সুখ দাও তাকে।”

“আজি যদি না-ই সংবাদ পাই

ফেরদৌস পেল মা,

গোরে পড়ে রব, কোথা নাহি যাব

আর কিছু চাই না!

সে যে আমার দুখিনী মা”!!

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *