তুমি হও গ্রীষ্ম; তীব্র গরম ভর দুপুর
নদী যেন পাশে বটতলে বসে গাইছে রাখাল বাধছে সুর।
তুমি হও বর্ষা; হিমেল বাতাস ঘুম ভুবন
কবি যেন বসে বাতায়ন পাশে ঘরে পড়ে দেহ উধাও মন।
তুমি হও শরৎ; স্বচ্ছ আকাশ শুভ্র মেঘ
যেন কাশ বনে বন্ধু দুজনে লুকোচুরি খেলে নিরুদ্বেগ।
তুমি হেমন্ত; কৃষকের হাসি সোনালী ধান
যেন কৃষাণীর নয়নের নীর অবুঝের কোলে সবুজ প্রাণ!
তুমি হও শীত; ভোরের শিশির খেজুর’ রস
মায়ের হাতের ভাপা পিঠা যেন চিরায়ত সুখ মন্ হরষ্।
তুমি বসন্ত; জীর্ণ ধরার নবীন রূপ
যেন বাগানের নতুন ফুল গাইছে কোকিল শুনছি চুপ।
তুমি বিকেল; সোনালী আলো লাল আফতাব
শ্রান্ত দিনের অবসান যেন ক্লান্ত জেলের শান্ত নাব।
তুমি হও ভোর; ফযরের আযান পাখির ডাক
সতেজ সমীর তরুণ অরুণে নিশিথ রজনী দূর পালাক।
তুমি মূহুর্ত হও আমার; প্রতিটি ক্ষণ প্রতি পলক
সময়ের তুমি বৃত্ত- হও- মর্তভূমে স্বর্গলোক।