এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য চলুন কিছুক্ষণ ব্রেইন স্টর্মিং করি।
মানুষের বুদ্ধিমত্তা ‘অনন্য’ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মানুষ দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন সম্পর্কহীন বস্তুকে নিজের ইচ্ছে মত জুরে দিতে পারে।
একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বুঝাই। আমরা যখন কথা বলি তখন কতগুলো ধ্বনিসমষ্টি উচ্চারণ করি। যার ক্ষুদ্র স্বাধীন অংশ হল স্বরধনি।
যেমন – অ, আ।
লক্ষ্যনীয় এখানে আমি যখন ‘অ’ বলছি তখন একটি নির্দিষ্ট ধরনের আওয়াজ করছি। কিন্তু, যখন আমি উক্ত আওয়াজকে লিখছি, তখন এক নির্দিষ্ট ধরনের ‘বক্ররেখা’ ব্যবহার করছি।
বক্ররেখা এজন্য বললাম- ‘অ’ তো আসলে কোন সরলরৈখিক চিত্র না। বরং, এক ধরনের বক্ররেখা বা বক্ররেখার সমষ্টি।
খেয়াল করুন- এখানে আমার ‘অ’-এর সাথে যে উচ্চারণ আমি সংশ্লিষ্টতা দিচ্ছি তা আসলে ‘আরবিট্রারী’, যদিও আমরা ছোটবেলা থেকে এভাবে শিখছি বলে লিখছি।
তবে একজন মানুষ ইচ্ছে করলে যে কোন বক্ররেখাকে ‘অ’ ধ্বনির সাথে জুরে দিতে পারে। ধরুন একজন সাংকেতিক ভাষায় একটি ম্যাসেজ দিতে চায়। যেখানে সে – ‘আ’ বর্ণটিকে ‘অ’ ধ্বনির সাথে সংশ্লিষ্ট করবে বলে ঠিক করেছে। তাহলে সে যখন ‘আ’ লিখবে, তার ‘কোড’ অনুযায়ী এর উচ্চারণ হবে ‘অ’।
বস্তুত, এই যে মানুষ ইচ্ছে করলে সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস (একটি ধ্বনির সাথে একটি বক্ররেখা)-কে বিধিবহির্ভূতভাবে জুরে দিতে পারছে, মানুষের এই যোগ্যতাটি হচ্ছে তার ‘mind’ এর ইউনিক একটি বৈশিষ্ট্য।
কম্পিউটারের নিউরাল নেটওয়ার্কের একবারে ব্যাসিক কর্মপ্রক্রিয়ার সাথে তুলনা করলে এ বিষয়টি বুঝা আরও সহজ হয়।
‘একজন প্রোগ্রামার’ চিন্তা করল যে নিউরাল নেটওয়ার্ককে ‘অ’ অক্ষর দেখালে ‘অ’ উচ্চারণ করা শেখাবে। সে নিউরাল নেটওয়ার্কের ইনপুট এন্ডে বিভিন্ন ধরনের ইমেজ দিয়ে ট্রেইনিং দেয়াবে এবং আউটপুট এন্ডে ‘অ’ ধ্বনির উচ্চারনটা ‘সিলেক্ট’ করে দেবে। নিউরাল নেটওয়ার্ক কিন্তু, নিজে থেকে আগে জানে না যে ‘অ’ বর্ণ দেখলে ‘অ’ উচ্চারন করতে হয়।
কিন্তু ধরুন, আপনি এমন একটি রোবট তৈরী করলেন যেটি প্রাথমিকভাবে ‘শূণ্য স্লেটের’ মত এবং এটি এমনভাবে তৈরী করা যে যা শুনে সংরক্ষণ করতে পারে এবং উক্ত সাউণ্ডের সাথে ‘আপনি’ যদি কোন ‘বক্ররেখা’কে জুরে দেয়া শিখিয়ে দেন সে উক্ত ‘সম্পর্ক’টাও তার মেমরীতে সংরক্ষণ করতে পারে। তাহলে উক্ত রোবট আপনার শেখানো বর্ণমালা দিয়ে কিছু ধ্বনিসমষ্টি তৈরী করতে পারবে।
ধরি, উক্ত রোবটকে ‘কলম’ দেখে বলতে বলা হলো। সে ‘কলম’ সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারবে।
উক্ত রোবটকে যদি একটি মানব শিশুর সাথে তুলনা করা হয়, মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে কি মানব মাইন্ড কোন উন্নতমানের ‘AI’? কারণ আমরা আমাদের শিশুকে যে ভাষায় শিখাই, যে বর্ণমালার সাথে যে ধ্বনিমালা ‘relate’ করতে শেখাই, সে সেই ভাষাতেই কথা বলে এবং তথ্য বিনিময় করে।
কিন্তু, একটি উন্নত ‘AI’ কি সম্পূর্ণ ‘আরবিট্রারী’ভাবে একটি ‘বক্ররেখার’ সাথে একটি ধ্বনিকে জুরে দিতে পারবে? হিউম্যান মাইন্ড কিন্তু এই কাজটি খুব ইফিসিয়েন্টলি করতে পারে এবং করে। শুধু তাই না, হিউম্যান মাইণ্ড কিছুক্ষন এই ধরনের হিডেন মিনিং যুক্ত সিম্বল নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে তার ইনহ্যারেন্ট মিনিং বের করতে পারে। কোন উন্নত কম্পিউটার কি এটা করতে পারবে?
পাঠক, আপনার কি মনে হয়?
…….
আসলে এই প্রশ্নটার উত্তরের জন্যে আমাদের একটু গণিত এবং দর্শনের কাছেও ধর্না দিতে হবে। কারণ, কম্পিউটারের আন্ডারলাইং স্ট্রাকচার হচ্ছে ম্যাথমেটিকাল । কম্পিউটারের তার প্রসসরে সেট করা অ্যাসেম্বলি ল্যাঙ্গুয়েজ অনুযায়ী কাজ করে। একটি খুবই সরলিকৃত কম্পিউটারে ইন্সট্রাকশন দেয় হয় বাইনারী ফর্মে যা প্রসেসর অ্যাসেম্বলি ল্যাংগুয়েজ অনুযায়ী ইন্টারপ্রিট করে।
কিন্তু, কম্পিউটার তার ইন্টস্ট্রাকশনের অর্থ না বুঝে জাস্ট অন্ধভাবে ফলো করে। (দেখুন- The Chinese Room Thought Experiment by John Searle)
কম্পিউটার কোন Consistent Formal Mathematical System-এ তৈরী হয়ে থাকলে এমন কিছু গানিতিক স্টেটমেন্ট আছে যা উক্ত Formal System এর রুল দিয়ে প্রুভ বা ডিসপ্রুভ করা যায় না, কিন্তু আমরা জানি যে সেগুলো সত্য। (দেখুন – Godel’s Incompleteness Theorem)
যদি সেটি কোন Inconsistent Formal Mathematical System-এ তৈরী হয়ে থাকে Lucas-Penrose Argument অনুযায়ী দেখানো যাবে উক্ত ইনকসটেন্স সিস্টেমেও গোডেলের আর্গুমেন্টকে এক্সটেণ্ড করা যায়।
…..
If you want to learn the criticisms of the hyperbolic claims of AI reaching human intelligence in no time you may follow this site- https://mindmatters.ai
…
Further reading-
1. Modern physics and ancient faith- Stephen Barr
2. Emperor’s New Mind – Sir Roger Penrose
3. Shadows of The Mind – Sir Roger Penrose
4. The Mystery of Consciousness – John Searle
Leave a Reply