Md. Abdullah Saeed Khan

মাইন্ড ব্রেইনের সাথে কিভাবে ইন্টারেকশন করে

মাইন্ড ব্রেইনের সাথে কিভাবে ইন্টারেকশন করে? এই প্রশ্নটা মাইন্ড-বডি ডুয়েলিজম-এর বিপরীতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কারণ, মাইন্ড ব্রেইনের সাথে ইন্টারেকশন করতে হলে মাইন্ড কর্তৃক এনার্জি ইনফিউজ করতে হবে। অর্থাৎ, শক্তির আদান প্রদান ছাড়া সাধারনত কোন কজাল রিলেশনশিপ সম্ভব নয়। অধিকন্তু, শক্তির নিত্যতা সূত্র অনুযায়ী আমরা জানি মহাবিশ্বের সর্বমোট এনার্জির কম বেশী হয় না। শক্তির কেবল রূপান্তর হয়। সে হিসেবে মাইন্ড কিভাবে ব্রেইনে শক্তি প্রবাহ করতে পারে সেটা নিয়ে নন-ডুয়্যালিস্টদের অবজেকশন আছে।

মজার বিষয় আধুনিক কোয়ান্টাম মেকানিক্সের আবিস্কারের মাধ্যমে এই অবজেকশন টিকে না। কারণ, কোয়ান্টাম মেকানিক্স অনুযায়ী দুটি এনট্যাঙ্গেলড পার্টিকেলের মধ্যে কোন প্রকার শক্তি প্রবাহ ছাড়াই ‘নন-লোকাল’ ইন্টারেকশন হতে পারে।

ধরুন, নাইট্রোজেনের দুটো পরমানু এনট্যাঙ্গেলড অবস্থায় আছে। আরও মনে করুন আপনি একটি পরমানুকে স্পেসশিপ দিয়ে মঙ্গল গ্রহে পাঠিয়ে দিয়েছেন। যদি পৃথিবীর পরমানু হয় Ne এবং মঙ্গল গ্রহের পরমানু হয় Nm, তাহলে দুটো পার্টিকেল বিপরীতমুখী স্পিনে ঘুরতে থাকবে (১/২ এবং -১/২).। ধরুন আপনি পৃথিবীতে বসে Ne এর স্পিন মাপলেন ১/২ তাহলে আপনি নিশ্চিত যে মঙ্গলগ্রহে যে আছে তার পরিমাপকৃত স্পিন হবে -১/২। মজার বিষয় হল আপনি যদি কোন ভাবে পৃথিবীর পার্টিকেলটার স্পিনি ঘুরিয়ে দিতে পারেন, মঙ্গল গ্রহের পরমানুটাও কোন প্রকার শক্তির আদান প্রদান ছাড়াই সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে ঘুরে যাবে। একে বলা হয় নন-লোকাল ইন্টারেকশন।

সুতরাং, যদি স্বয়ং আধুনিক পদার্থবিদ্যা অনুযায়ী ননলোকাল কজেশন পসিবল হয় তাহলে মাইন্ড কেন ব্রেইনের সাথে শক্তি ছাড়া ইন্টার‍্যাকশন করতে পারবে না।।

(Further reading: The Soul Hypothesis, Mark Baker and Stuart Goetz, ed.) এবার একটু ভাবনার খোরাক। মজার বিষয় হল আমরা জানি পাটির্কেল গুলো অবজারভেশনের আগ পর্যণ্ত সুপারপজিশনে থাকে। যখন অবজারভেশন করা হয় তখনই কেবল কো্ল্যাপস করে। এখন আমাদের অবজারভেশনের অ্যাপারেটাস তথা আমাদের ইন্দ্রীয়সমূহ নিজেরাইতো এক ধরনের কোয়ান্টাম ম্যাকানিকাল এনসেম্বল। তাহলে একটা এনসেম্বল তথা আমাদের ব্রেইন কিভাবে আরেকটি এনসেম্বল তথা এক্সিপেরমেন্টাল এপারেটাসকে রিডাকশন করে। অর্থাৎ, ফিজিক্যাল সিস্টেম ছাড়াও আরও কিছু এখানে ফাংশন করছে। উক্ত কিছু হলো আমাদের মাইন্ড যার আলাদা একটি স্বত্ত্বা আছে। হতে পারে আমাদের ব্রেইনে আমাদের মাইন্ড নিয়মিত ফিজিক্যাল সিস্টেমের পরিবর্তন আনছে। যেমন: আপনি যখন কোন পাটিকুলার মুভমেন্ট করছেন তখন উক্ত মুভমেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট নিউরনাল সিগন্যাল মোটর কর্টেক্স-এ তৈরী হচ্ছে। হতে পারে যারা উক্ত মাইন্ডকে সুতীক্ষ্ণভাবে ব্যবহার করতে শিখেছে তারা ব্রেইনের বাইরের সিস্টেমকে অল্পমাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ পায়। থাক আর এগুচ্ছি না। এভাবে এগুতে থাকলে আলোচনা অন্যদিকে টার্ন করতে পারে।


সর্বপোরী আল্লাহই ভাল জানেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top