নিচে যে ছবি গুলো দেখতে পারছেন এগুলোর নাম অটোস্টেরিওগ্রাম। বিষয়টি সম্পর্কে প্রথম জানতে পারি ২০১৩ সালের দিকে নিউরোসায়েন্সের একটি বইয়ে। আমাদের দৃষ্টি কিভাবে কাজ করে বুঝতে গিয়ে মজার জিনিসটি পাই।
প্রথম দৃষ্টিতে ছবিগুলো জাস্ট হিজিবিজি রং বা এলোমেলো রিপিটেশন মনে হচ্ছে। কিন্তু, আপনি যদি ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে আপনার দুই চোখের দৃষ্টিকে কনভার্জ করে কাছে নিয়ে আসতে পারেন, তাহলে দেখবেন আপনার দৃষ্টিতে ত্রিমাত্রিক একটি চিত্র ভেসে আসছে। তবে কনভার্জ করে ছবিটি তৈরী হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে এবং ছবিটিকে কিছুটা সামনে পিছনে করতে হতে পারে।
ত্রিমাত্রিক ছবি বলতে বুঝাচ্ছি আপনার কাছে মনে হবে সংশ্লিষ্ট ছবিটা থেকে ত্রিমাত্রিকভাবে আপনার দিকে একটি চিত্র ভেসে উঠেছে। ঠিক যেরকম থ্রিডি মুভিতে দেখা যায়। অর্থাৎ, একটা ডেপথ অফ ভিউ তৈরী হবে।
তবে ছবিগুলো দেখতে একটু অনুশীলন লাগে। কনভার্জেন্স করা নতুনদের জন্য একটু কঠিন। যারা নতুন, তারা চোখের সামনে আঙুল রেখে সেটার উপরে ফোকাস দিয়ে ছবিটা দেখার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
মজার বিষয় হল দৃষ্টিকে কনভার্জ করতে প্রথমে আপনার চোখে হালকা স্ট্রেইন হবে। কিন্তু যখন ত্রিমাত্রিক ছবিটি আপনার ভিশনে পরিস্কার হয়ে যাবে, তখন আপনি বিস্ময়কর আরাম বোধ করবেন। এই অবস্থায় আপনি ত্রিমাত্রিক ছবিটির দিকে তাকিয়ে যদি সামনে আসেন বা পিছনে যান, তাহলেও ছবিটি চলে যাবে না যতক্ষণ না আপনি আপনার চোখ দুটোকে পুনরায় স্বাভাবিক পজিশনে নিয়ে আসছেন।
বলুনতো নিচের ছবিগুলোতে কি দেখা যাচ্ছে?
প্রতিটি ছবির বর্ণনায় কি দেখতে পাওয়ার কথা লিখে দিয়েছি।
উপরের ছবিটিতে পাঁচটি বা দশটি কয়েন ভাসমান দেখা যাচ্ছে।
উপরের ছবিটিতে একটি পেয়ালার মধ্যে কতগুলো নীলচে-কালো রঙ্গের স্বচ্ছ ডায়মন্ড দেখা যাচ্ছে।
উপরের ছবিটিতে দুটি ‘8’ আকৃতির ফিতা পরস্পরকে সমকোনে ভেদ করে আছে।
উপরের ছবিটিতে একজন মানুষ একটি বৃত্তাকার জানালা বা গুহামুখ থেকে বের হয়ে একটি লাঠি ধরে আছে। (অনেকে এখানে বাঘ বা ডাইনোসর দেখতে পান।) এ ছবিটি দেখা উপরেরগুলোর তুলনায় একটু কঠিন।