কবিতা ও ছড়া
প্রার্থনা
হে মহাকালের মহাস্রষ্টা! হে মহাজ্ঞানী! সর্বদ্রষ্টা! হে অনাদি অনন্ত অসীম! আমি ক্ষুদ্র দরিদ্র সসীম। আমি পাপী, আমি অগণন পাপে ভাসমান পরিতাপী। মোর অশ্রুসজল নয়ন, সিক্ত মন, যুঝে ঝঞ্চাপ্রবণ গ্লানী সর্ব ক্ষণ, বুঝে যুক্তি খুঁজে মুক্তি, যাচে সংশয়হীন চিত্ত নিত্যদিন, চায় নিত্যানন্দ, শান্তি, চিন্তাবি’ন আত্মা, হে অসীম দয়ালু সত্ত্বা! আমি অধম, অসাড়, অনিয়ম, আমি ক্ষমা প্রত্যাশী
রিজিক
প্রতিদিন ভোর ঊষার প্রহর কিচির মিচির শব্দেজাগছে পাখি, দিনভর তা কি করে রিজ্কের চিন্তা?রিজিক দাতার ভরসাতে যার দিনের খোড়াক লব্ধেবের হয় ভোড়ে সন্ধ্যায় ফিরে কর্মেই কাটে দিন তার। …………………. সাঈদ ২০.০৪.২০২২ ভোর ৫.৩০, শ্যামলী
হে আদম সন্তান!
এক মহাবিস্ফোরণ! স্থান-কাল সৃষ্টি হলো শক্তি ক-ণা বৃষ্টি হলো স্ফিতি ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত হইলো প্রসারণ। ম-হা-বিশ্ব সূচিত হলো – হইলো সঞ্চালন, নি-হারি-কা ধুম্রকুঞ্জো অ-গনিত কণাপুঞ্জ চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা হইলো সাত আসমান, সবুজ ধরার সৃষ্টি হইলো, হইলো সৃষ্টি প্রাণ। লক্ষ লক্ষ বছর পরে সবুজ শ্যামল এই ভূ-ধরে, শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সৌষ্ঠব অম্লান, বুদ্ধি দীপ্ত তুখোর
বর্ষা
নীলাকাশ ঢাকে ঘন কালো মেঘে আধারে জড়ায় ধরা বজ্রনিনাদে কেঁপে ওঠে ভূ বর্ষে অঝোরে জল শির শির বাতায়ন গরমের শেষে কাটে রাত আসে আলো স্নিগ্ধতা বেশে, তেমোনী জীবন, মাঝে মাঝে সে যে প্রলয়ের ঢল, সময়ের ডাকে সেও চলে যায় মুছে জীবনের জরা। ———— সাঈদ বিকেল ৪.৫৩; ঝড়ের সময় ২২.০৪.২০২২ স্বরবৃত্ত(১৮,১৬,১৪,১৪,১৬,১৮)
এতিম নামাজ
ঘুরে ফিরে এলো রমজান মাস রাখছে সকলে রোজাঘুরে ঘুরে চা’য় ফরজ নামাজ করছে সকলে কাজা।আমি কি এমনই এতিম অনাথ এতই তোমার বোঝা?আমাতে কি নেই খোদার আদেশ নেই কি আমাতে জাঝা?আমি কি শুধুই জুমার দিনের হাজিরা দেবার খাতা?কলমা নামাজ যাকাত ও হজ্ব সবাই তোমার ত্রাতা। শুধু রোজা রেখে স্রষ্টা পাইবে তাই কি হবার কথা?তবে শুধু কেনো
কবি
এতদিন ভাই লিখে গেছি তাই যা আসে মনে ছন্দ ছাড়াই ছাই-পাশ যাই লিখিয়াছি ক্ষণে। লেখক যারা জানেন তারা ছন্দ বুনন রীতি হাতের নিপুন ছোয়ায় দারুণ লিখতে পারেন গীতি। শিল্পী মনন নিত্য বুনন করছে নুতন ছবি তারাই লেখক তারাই সাধক তারাই আসল কবি। সাঈদ ২৩/০৪/২০২২
বিদায় বেলায়
রমাদান রুহামাহ রাহে নাজাত বার্তা বহে এক-মাস চলে যায় দ্রুততায়, যেন এক পশলা হিম বৃষ্টি খরতাপে রুড়তায় দীর্ণ শুষ্ক মাঠে, করে সৃষ্টি সবুজের সমারোহ, চোখে বহে মুগ্ধতা এক-রাশ। আকাশ বিষন্ন আজ মেঘেরা অশ্রু ফেলে সরবে অনাথ হৃদয় আজ বেদনা বিধুর ব্যাথা ক্লান্ত কবর কাদিয়া কয় জীবিত জীবন যদি জানত কি সুযোগ চলে যায় আলস্য জড়তায়
ঈদুল ফিতর
অবশেষে রোজা শেষে এলো হেসে ঈদ, ছোট বড় হয়ে জড়ো গাইছে নাশিদ। তাকবির তাকবির ওই দেখো চাঁদ, কি যে খুশী কি যে খুশী দাও দাও হাত আসো আসো দেই বসো মেহেদীর সাজ নানা স্বাদে মা-রা রাঁধে কতকিছু আজ। চল চল ঘুমে চল ভোর হলে পর ঈদের নতুন সাজে সাজব এ ঘর। নতুন নতুন জামা পড়ব