Category: জ্ঞানতত্ত্ব

  • পড়াশোনা কিভাবে করবেন?

    ভেবে দেখলাম জীবনে তিনটা কারণে পড়াশোনা করেছি। তিনটি ক্ষেত্রে অবশ্য পড়াশোনার ধরণ ছিলো ভিন্ন।

    এক, পরীক্ষা পাশের জন্য। এই পড়ালেখাটা ছিলো খুবই সীমাবদ্ধ এবং সিলেবাস ভিত্তিক। পরীক্ষার আগে অনেকটা মুখস্থ করা জন্য।

    দুই, কোন প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য। এই পড়ালেখাটা মূলত শুরু হয়েছে ক্লাস এইট থেকে। প্রশ্নগুলোকে অনেকটা থিওলজি, রিলিজিওন, ফিলোসফি এবং সায়েন্স ক্যাটেগরিতে ফেলা যায়। শুরুটা হয়েছিল তাকদির দিয়ে। এরপর, প্রজাতির উৎপত্তি (বিবর্তনবাদ, ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন), জীবের উৎপত্তি (অ্যাবায়োজেনেসিস), মহাবিশ্বের উৎপত্তি (কসমোলজি), মাইন্ডের ধরণ ও আত্মার অস্তিত্ব (ফিলোসফি অব মাইন্ড, কম্পিউটার সায়েন্স, কোয়ান্টাম মেকানিক্স), এবং ফিলোসফি অব রিলিজিওন। এই পড়ালেখার সময় বেশী বেইনস্টর্ম করতে হয়েছে। অবশ্য এটি এখনও চলছে। কখনও কম, কখনও বেশী।

    তৃতীয়, কোন স্কিল অর্জন করতে গিয়ে। যেমন, ক্লিনিক্যাল স্কিল, রিসার্চ স্কিল এবং স্ট্যাটিসটিক্যাল স্কিল। এ পড়ালেখার ধরণ ছিল অনেকটা নিড বেইজড। যতটুকু জানা প্রয়োজন, ততটুকু ঠিক গভীরে থেকে জেনে আসা। যেন ফাউন্ডেশনটা ভাল হয়।

    মনে পড়ে, এমবিবিএস-এর পর, বিবর্তন ও ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন থিউরী পড়তে গিয়ে মনে হল যে জেনেটিক্সটা ভাল মত বোঝা দরকার। ফলে, আমাদের দু্টো টেক্স বই ছিল লিপিনকট এবং হার্পার। দুইটা বই খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ে ফেললাম। আলবার্ট সাহেবের মলিকিউলার বায়োলজি অব সেল বইটিও কিনে ফেলেছিলাম, পড়বো বলে। ঢাউস সাইজের বইটা পড়া হয়ে ওঠেনি। তবে অন্য একটা বেশ বড় বই পড়া হয়েছে নিউরোসায়েন্স নিয়ে। মাইন্ড কিভাবে কাজ করে ভাবতে গিয়ে মনে হল নিউরোসায়েন্স ইন ডেপ্থ বোঝা দরকার। ডেল পার্ভস এর একটা টেক্স বই আছে, পুড়োটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।

    তবে, টেক্সবই না পড়লেও এই বিষয়গুলো সম্পর্কিত পপুলার বই পড়া হয়েছে অনেকগুলো এবং আর্টিকেল হয়ত কয়েক হাজার।

    এইসব পড়তে গিয়ে অবশ্য নিজের পাঠ্যবই-এর মনোযোগ গিয়েছিলো কমে। কিন্তু, সমস্যা হয়নি তেমন। কারণ, বিষয়গুলো রিলেটেড হওয়ায় মেডিসিনের পাঠ্যবই ডেভিডসনের অনেককিছুই বুঝতে সুবিধে হয়েছে।

    তবে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধরনের পড়ার স্টাইল আমি সবচেয়ে বেশী উপকারী হিসেবে পেয়েছি। এই পড়ার ফলে একটা লং-টাইম কনসেপচুয়ের মেমরী ডেভেলপ করেছে।

    ইদানিং, এই দীর্ঘ পড়ালেখা, লিখালিখি এবং স্কিল তৈরীর ফল ক্যারিয়ারেও পাচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ। হয়ত এ কারণেই এমফিল এডমিশন পরীক্ষায় শুধু অংশগ্রহণ করতে গিয়ে চান্স পেয়ে গেছি। জীবনের প্রথম IELTS পরীক্ষায় কোন সিরিয়াস প্রিপারেশন ছাড়াই ব্যাণ্ড স্কোর ৮ পেয়েছি। অবশ্য মহান রবের রহমাহ ছাড়া এগুলো সম্ভব হতো না। সকল প্রশংসা তাঁর।

    আমি সবাইকে অনুরোধ করবো বুঝে পড়ার অভ্যাস করতে এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টে মনোযোগ দিতে। শুধু মুখস্থ করে কোন লাভ নেই, যদি আপনি না বুঝেন। আবার, শুধু বুঝে লাভ নেই, আপনি যদি জ্ঞান এপ্লাই না করতে পারেন।

  • স্রষ্টার অস্তিত্বের পক্ষে কালাম কসমোলজিক্যাল আর্গুমেন্ট:

    ১. যা কিছুর শুরু আছে তার শুরু হওয়ার পিছনের কোন কারণ আছে

    ২. এই মহাবিশ্বের শুরু আছে

    ৩. অতএব এই মহাবিশ্বের শুরু হওয়ার পিছনে কারণ আছে

    উক্ত কারণের বৈশিষ্ট্য- উক্ত কারণ হলেন এমন একজন স্বত্ত্বা যিনি সর্বশক্তিমান, সময়ের উর্দ্ধে, অপরিবর্তনীয়, অশরীরী, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি সম্পন্ন ।

    ১ নং- এর ব্যাখ্যা


    ক. শূণ্য থেকে কোন কিছু একা তৈরী হতে পারে না

    খ. যদি শূন্য থেকে কোন কিছু একা তৈরী হতে পারতো তাহলে প্রতি মূহুর্তে যে কোন কিছু কেন শূন্য থেকে তৈরী হয়ে যাচ্ছে না তা ব্যাখ্যা করা সম্ভব হত না

    গ. আমাদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা এবং বৈজ্ঞানিক প্রমাণাদি বলে যে শূণ্য থেকে কোন কিছু তৈরী হয় না

    ২ নং-এর ব্যাখ্যা

    ক. দার্শনিক ব্যাখ্যা

    – যদি মহাবিশ্বের শুরু না থেকে থাকে তাহলে আমাদের মহাবিশ্বের অস্তিত্ব কিভাবে আসল ব্যাখ্যা করা যায় না

    – কারণ প্রকৃত অসীম (Actual infinity) সম্ভব নয়। কেন?

    – কারণ, কোন ঘটনা সংকলন যা একটার পর একটা যোগ করে তৈর হয় তা কখনও প্রকৃত অসীম হতে পারে না

    – সময়যুক্ত কোন ঘটনা পরম্পরা হল উক্ত ধরনের ঘটনা সংকলন

    – সুতরাং সময়যুক্ত ঘটনা পরম্পরা প্রকৃত অসীম হতে পারে না

    খ. বৈজ্ঞানিক প্রমান

    – হাবল টেলিস্কোপে আবিস্কৃত তারকারাজির রেড শিফট যা প্রমাণ করে যে নক্ষত্রগুলো একটি থেকে আরেকটি দূরে সরে যাচ্ছে

    – উইলসন ও পেনজিয়াস আবিস্কৃত কসমিক ব্যাকগ্রাউণ্ড রেডিয়েশন প্রমাণ করে আমাদের মহাবিশ্বে এক্সপ্লোসিভ অরিজিন

    – বোর্ড-গুথ-ভিলেনকিন থিওরেম প্রমাণ করে যে ক্লাসিকাল স্থান-কালকে অতীতে অসীম পর্যন্ত বর্ধিত করা যায় না

    – তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী যে কোন এক মহাবিশ্ব বা চাক্রিক মহাবিশ্বের এনট্রপি বাড়তে থাকবে যতক্ষণ না তা ভারসাম্য পৌছায়

    ৩-নং এবং এর ব্যাখ্যা-

    এই মহাবিশ্বের শুরু হওয়ার কারণ-এর কেমন হতে হবে?

    – উক্ত কারণের অস্তিত্বের কোন কারণ থাকা যাবে না। কেননা, তার অস্তিত্বের কারণ থাকলে উক্ত কারণের কারণ থাকবে ও উক্ত কারণের কারনের কারণ থাকবে এবং এভাবে অসীম পর্যণ্ত যেতে হবে। কিন্তু আমরা দেখেছি প্রকৃতি অসীম সম্ভব নয়।

    – উক্ত অস্তিত্ব হতে হবে ব্যাক্তিগত স্বত্ত্বা (personal being)। কেননা, এছাড়া ব্যাখা করার উপায় নেই যে কিভাবে একটি অসীম (eternal) কারণ থেকে সসীম ঘটনা এল

    – উক্ত অস্তিত্বের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে। কেননা, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি ছাড়া ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয় যে কেন উক্ত স্বত্ত্বার সাথে মহাবিশ্ব সহউপস্থিত নয়।  

    – তার অস্তিত্ব হতে হবে অশরীরী

    – তার অস্তিত্ব হবে অপরিবর্তনীয়

    – তিনি হবেন সময়ের উর্দ্ধে

    – তিনি হবেন সর্বশক্তিমান

    ইসলাম অনুযায়ী উক্ত সর্বশক্তিমান, সময়ের উর্দ্ধে, অপরিবর্তনীয়, অশরীরী, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি সম্পন্ন স্বত্ত্বার নাম হল আল্লাহ। 

    ……..

    রেফারেন্স রিডিং- https://www.reasonablefaith.org/writings/popular-writings/existence-nature-of-god/the-kalam-cosmological-argument/

  • স্রষ্টা অস্তিত্বের পক্ষে কন্টিনজেন্সি আর্গুমেন্ট:

    -কোন সাপেক্ষ অস্তিত্ব (Contingent being), যার অস্তিত্ব থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে, তার অস্তিত্বশীল হওয়ার পিছনে কোন কারণ আছে

    -কোন সাপেক্ষ অস্তিত্ব স্ব-অস্তিত্বশীল হতে পারে না

    -সাপেক্ষ অস্তিত্ব-এর অস্তিত্বশীল হওয়ার কারণ হয় অন্য কোন সাপেক্ষ অস্তিত্ব বা আবশ্যকীয় অস্তিত্ব

    -কোন সাপেক্ষ অস্তিত্ব অন্য কোন সাপেক্ষ অস্তিত্বের অস্তিত্বশীল হওয়াকে পূর্ণভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে না

    -কোন সাপেক্ষ অস্তিত্ব অস্তিত্বশীল হওয়ার ব্যাখ্যা চূড়ান্ত ভাবে কেবল আবশ্যকীয় অস্তিত্বই দিতে পারে

    -মহাবিশ্ব বা সকল সম্ভাব্য মহাবিশ্ব হল সাপেক্ষ অস্তিত্ব

    -অতএব মহাবিশ্বের অস্তিত্বশীল হওয়ার পিছনে কোন আবশ্যকীয় অস্তিত্ব আছে

    -অতএব আবশ্যকীয় অস্তিত্ব আছে

    আবশ্যকীয় অস্তিত্বের প্রয়োজনীয় বৈশিস্ট্য:

    ১. ইচ্ছা শক্তি

    ২. সময়ের উর্ধ্বে

    ৩. অপরিবর্তনশীল

    ৪. সর্বশক্তিমান

    ৫. সর্বজ্ঞানী

    ৬. একক

    কোরআনে আলোকে উক্ত আবশ্যকীয় অস্তিত্ব হলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা।  

  • বিজ্ঞানের অন্তঃর্নিহিত সীমাবদ্ধতা

    বিজ্ঞানের একটি অন্তঃর্নিহিত সীমাবদ্ধতা হল ‘Problem of Induction’। বিজ্ঞান কাজ করে অনুমিতি (Assumptions)-এর উপর ভিত্তি করে। কিন্তু, বিজ্ঞানবাদীরা বিজ্ঞান যে ‘অনুমিতি’ নির্ভর তা সুকৌশলে এড়িয়ে যায়।

    একটু খুলে বলি। ধরুন, আপনি পরীক্ষা করে দেখতে চান কাকের রং কি। যেই ভাবা সেই কাজ। আপনি ১০০০ হাজার কাক র‍্যানডমলি বাছাই করে পর্যবেক্ষণ করলেন। আপনি দেখলেন কাকের রং কালো। আপনি সিদ্ধান্তে আসলেন যে কাকের রং কালো। কিন্তু, ‘কাকের রং কালো’ এই সিদ্ধান্তটি কি ১০০% সত্য (Fact)। উত্তর হচ্ছে: না। কারণ, আপনার বন্ধু যদি কয়েকবছর পর ঘটনাক্রমে একটি সাদা কাক আবিস্কার করে ফেলে তাহলে ‘কাকের রং কালো’ সিদ্ধান্তটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

    বিজ্ঞানীদের কাজ হল পর্যবেক্ষনলব্ধ তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে একটি তত্ত্ব (Theory) দাড় করানো। উক্ত তত্ত্বের কাজ দুটো: একটি হল বর্তমান তথ্য উপাত্তের একটি কার্যকরী ব্যাখ্যা দেয়া এবং দ্বিতীয়টি হল উক্ত তত্ত্বের আলোকে প্রেডিকশন করা যে মহাবিশ্বের অদেখা জায়গাগুলো ‘যদি একই রকমের নিয়ম মেনে থাকে’ তাহলে একই রকম তথ্য পাবার কথা।

    উক্ত ‘একই রকমের নিয়ম মেনে থাকে” বাক্যটি হচ্ছে আমাদের অনুমিতি যা হয়ত পরবর্তী পর্যবেক্ষণে সত্য নাও হতে পারে।

    সুতরাং মহাবিশ্বের (মানে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীবজগৎ সহ) কোন অংশ আমরা কিভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং কতটুকু পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছি, আমাদের প্রকল্প (Hypothesis) এবং তত্ত্ব তার উপর নির্ভর করে।

    যেমন টলেমীর জিওসেন্ট্রিক মডেল (তথা পৃথিবীর চারপাশে সূর্য ঘুরে) ততক্ষণ পর্যন্ত কার্যকর ছিলো যতক্ষন পর্যবেক্ষণলব্ধ তথ্য উক্ত মডেল দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছিল। কিন্তু, যখনই নতুন পর্যবেক্ষণলব্ধ তথ্য উক্ত মডেল দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছিল না তখন কোপারনিকাসের হেলিওসেন্ট্রিক মডেল (তথা সূর্যের চারপাশে পৃথিবী ঘুরে) এসে জায়গা করে নিলো।

    আরেকটা মজার বিষয় হল হাতে থাকা তথ্যকে অনেক সময় একাধিক মডেল বা প্রকল্প দিয়ে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। কিন্তু, এর মধ্যে কোন প্রকল্পটি গ্রহন করা হবে তা নির্ভর করছে উক্ত প্রকল্পটির ‘ব্যাখ্যা শক্তি’ (explanatory power) -এর উপর। যে প্রকল্পটি আহরিত তথ্যের সবচেয়ে ভাল ব্যাখ্যা দিতে পারবে এবং যেটি তুলনামূলক সহজ, রীতি হলো সেটি গৃহীত হবে।

    বিজ্ঞানী মহলে Occam’s Razor বলে একটি কথা আছে। যার বক্তব্য হচ্ছে- যখন কোন পর্যবেক্ষণ ব্যাখ্যা করতে একাধিক প্রতিযোগী প্রকল্প দাড় করানো হয় তখন সে প্রকল্পটি গ্রহন করতে হবে যেটি সর্বনিম্ন সংখ্যক ‘অনুমিতি’ নির্ভর তথা ‘সহজ’। তার মানে এই নয় যে অন্যান্য প্রকল্প ভুল। বরং, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটি এজন্য গ্রহন করা হচ্ছে যে এটি বৈজ্ঞানিকভাব তুলনামূলক সহজে পরীক্ষা (test) করা যাবে।

    সুতরাং, দেখা যাচ্ছে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি কখনও শতভাগ ও চূড়ান্ত সত্যের নিকটে পৌছতে পারে না। কারণ, বিজ্ঞান নির্ভর করে মানুষের ‘পর্যবেক্ষণ’ সীমার উপর।

    ‘বিবর্তনবাদ’ ফসিল এভিডেন্স ও স্পিসিস-এর জিওগ্রাফিক লোকেশনের একটা সুন্দর ব্যাখ্যা দেয়। কিন্তু, একটা ব্যাকটেরিয়ার ফ্ল্যাজেলা কিভাবে ‘বিবর্তনের’ মাধ্যমে তৈরী হল তা বিজ্ঞানমহলে প্রচলিত কোন বিবর্তনের ম্যাকানিজম দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। সুতরাং, যারা বিবর্তনবাদকে শতভাগ সত্য (Fact) বলে দাবী করে, তারা তা করে বিশ্বাসের ভিত্তিতে। এই বিশ্বাস যে, বিজ্ঞান মানুষকে সবসময় শতভাগ ও চূড়ান্ত সত্যের দিকে নিয়ে যায়। আর, যারা বিবর্তনবাদকে শুধমাত্র একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব হিসেবে বিবেচনা করে, তারা বিনয়ের সাথেই মেনে নেয় যে নতুন এমন অনেক পর্যবেক্ষন থাকতে পারে যা ‘বিবর্তনবাদ’ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।

    লক্ষ্যণীয় ‘Observation’ তথা পর্যবেক্ষণ হচ্ছে জ্ঞান আহরনের একটি মাধ্যম মাত্র। মানুষের জ্ঞান অর্জনের আরও অনেক মাধ্যম আছে । ‘Epistemology’ তথা জ্ঞানতত্ত্ব হল দর্শনের একটি শাখা যা মানুষের জ্ঞান আহরনের মাধ্যম এবং মানুষের বিশ্বাস-এর ন্যায্যতা প্রতিপাদন (Justification) নিয়ে আলোচনা করে।

    শেষ করছি একটি প্রশ্ন রেখে। পাঠক, ভেবে দেখুনতো মানুষের জ্ঞান আহরণের আর কি কি মাধ্যম থাকতে পারে?

    Bibliography:

    1. https://www.forbes.com/sites/startswithabang/2017/11/22/scientific-proof-is-a-myth/#5c0abc0e2fb1
    2. https://en.wikipedia.org/wiki/Geocentric_model
    3. https://en.wikipedia.org/wiki/Heliocentrism
    4. https://en.wikipedia.org/wiki/Occam%27s_razor
    5. https://plato.stanford.edu/entries/epistemology/