Category: অন্যান্য

  • আমাদের মাঝে যেন অহংকার না আসে।

    পৃথিবীর বা মৃত্যু পরবর্তী জীবনের জন্য আমাদের যতটুকু অর্জন তার কোনটিই শুধু আমাদের নিজের যোগ্যতা দিয়ে হয় না।

    এ অর্জনের পিছনে কাজ করে আমাদের বংশগতি, জৈবিক গঠন, আর্থসামাজিক এবং পরিবেশ সংশ্লিষ্ট অসংখ্য প্রভাবক। যে সকল প্রভাবকের অধিকাংশই আমাদের হাতে নেই।

    আমরা আমাদের চেষ্টায় শুধু কিছু প্রভাবকে পরিবর্তন আনতে পারি। বাকি প্রভাবকগুলোর জন্য প্রার্থনা করা ছাড়া আমাদের হাতে কোন উপায় থাকে না।

    আমি যদি নিজের চেষ্টায় অনেক সম্পদ গড়তে পারি, তা যেন অন্যকে ব্যর্থ ভাবার কারণ না হয়। হয়ত তার যাত্রাপথ আমার মত তুলনামূলক মসৃণ ছিল না।

    আমি যদি নিজের চেষ্টায় জ্ঞান অর্জন করতে পারি, তা যেন অন্যকে ছোট করার উপলক্ষ না হয়। হয়ত সে যথেষ্ট চেষ্টা করা সুযোগ বা ধাক্কা পায় নি।

    আমি যদি নামাজে বিনয়ী হতে পারি, তা যেন নিজেকে অনেক বড় মুত্তাকী ভাবার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। হয়ত অন্যরা জীবনে শতসহস্র কাঠিন্যে একাগ্রতা অর্জনের সুযোগ এখনও পাচ্ছে না।

    পৃথিবী একটি পরীক্ষাক্ষেত্র । তাই সবাইকে সমান রিজিক দেয়া হয় নি।

    সুতরাং, আমাকে যা দেয়া হয়েছে তা নিয়ে যেন অহংকার না আসে।

  • হ্রদের পাশে ঘর

    কাপ্তাই লেইকের একটা রিসোর্টে ফ্যামিলি সহ ঘুরতে গিয়েছিলাম। ছবিটা রিসোর্টের একটি কটেজের ব্যালকনি থেকে তোলা। এই ধরনের ভ্রমনের অনুভূতি ঠিক ছবিতে তুলে আনা সম্ভব হয় না।

    সারাদিনের ক্লান্তিকর সফর শেষে যখন কটেজের ব্যালকনি থেকে কাপ্তাই লেকের নয়নাভিরাম দৃশ্য ও হিম শীতল বাতাসের পরশ গায়ে এসে লাগল, তখনই যেন সকল ক্লান্তি এক নিমিষেই দূর হয়ে গেল, অস্থির চিত্ত প্রশান্ত হল। কটেজগুলো লেকের ঠিক পার ঘেষে তৈরী করা। পুরোপুরি আধুনিক নির্মাণশৈলীতে তৈরী রুমগুলো যথেষ্ট স্পেশাস ও কমফোর্টেবল।

    আমাদের সবারই মনের চাওয়া এরকম প্রশান্তিপূর্ণ একটি বাসস্থান। কিন্তু, পৃথিবীতে খুব অল্প মানুষের সামর্থ বা সুযোগ আছে যে, এরকম একটি স্থানের মালিক হতে পারবে। এমনকি এ ধরনের একটি স্থানে ঘুরতে গিয়ে একটু সময় কাটিয়ে আসার সক্ষমতাও হয়ত অধিকাংশের নেই। কারণ, এ স্থানগুলোতে আপনাকে সময় কিনে নিতে হবে। যার দামটা একেবারে কম নয়।

    তবে, পৃথিবীর সীমাবদ্ধ ভূমিতে সব মানুষের এ ধরনের ঘর থাকা সম্ভবও নয় এবং সীমাবদ্ধ সময়ে এ ধরনের বাসস্থানের কোন প্রয়োজনীয়তাও নেই।

    কিন্তু, একটা জায়গায় গেলে আমাদের সবার জন্য এ ধরনের আলাদা ঘর থাকা অসম্ভব না। ইন ফ্যাক্ট, ওখানে এমন ঘর থাকবে যা হয়ত আরও পরিপূর্ণ, আরও প্রশান্তি দায়ক। ঐ ঘরের পাশে শুধু লেক নয়, হয়ত ঝর্ণাধারাও থাকবে। হয়ত থাকবে পাহাড়, হৃদ ও সমুদ্রের অপূর্ব মিশেল। থাকবে সুস্বাদু খাবারের অ্যাবান্ডেন্স। থাকবে যতদিন ইচ্ছে, ততদিন থাকার সুযোগ। এবং, যতবার ইচ্ছে, ততবার। কোন সীমা নেই এই সময়ের। হতে পারে তা আমাদের কল্পনার চেয়েও সুন্দর হবে। সাথে থাকবে অপরিবর্তনীয় মালিকানা। কেননা, এই জমিনের একাধিক উত্তারিকারী থাকবে না, অন্য কেউ কখনও দখলের দাবি করতে আসবে না।

    তবে, এই ঘরের মালিকানা পেতে আমাদের একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে এবং কষ্ট করতে হবে। আমাদের রবের দেয়া এথিকাল গাইডলাইন ফলো করতে হবে, আমৃত্যু । দুনিয়ার একটি সুন্দর জায়গায় কিছুক্ষণ থাকার জন্য অর্থ জমাতে গিয়ে যদি আমরা এত কষ্ট করতে পারি। তাহলে, পরপারের সেই সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়াও আমাদের জন্য সম্ভব। শুধুমাত্র দরকার এই সত্যের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন এবং মন থেকে তার সত্যতার ব্যপারে উপলব্ধি করা।

    চলুন না, যিনি আমাদের সুন্দরাবোয়বে তৈরী করলেন, তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করি এবং তাঁর পথে সুন্দর কাজ করে সেই সময়ের প্রস্তুতি নিতে থাকি।

    হ্রদের পাশে ঘর

    ২৪.০২.২০২৪

  • মানুষের ইউনিক বৈশিষ্ট্য – অ্যাবস্ট্রাক্ট চিন্তা করার ক্ষমতা

    পোস্টটা একটু বড়। আমি চেষ্টা করেছি, মানুষের অ্যাবস্ট্রাক্ট চিন্তা করার ক্ষমতা কেন ইউনিক এবং নন-কমপিউটেবল তা সংক্ষেপে ও সহজবোধ্যভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য। এটি করতে গিয়ে প্রথমে ব্যাখ্যা করেছি পরিসংখ্যানে ‘ওয়েইট’ দেয়া মানে কি। তারপর, বলেছি কিভাবে প্রবাবিলিটি হিসেব কষা হয় এবং কিভাবে কোন ইভেন্টের প্রবেবিলিটি বাড়ানো যায়। চেষ্টা করেছি, নিউরাল নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে তার সংক্ষিপ্ত ধারণা দিয়ে চ্যাট জিপিটি আসলে কি করে তা আলোচনা করতে। সবশেষে চেষ্টা করেছি মানুষের অ্যবস্ট্রাক্ট চিন্তা করার ক্ষমতা কেন স্বতন্ত্র এবং অগণনযোগ্য বৈশিষ্ট্য, তা ব্যাখ্যা করতে ।

    ….

    আপনি যদি পুরোটা পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন আপনাকে অগ্রীম ধন্যবাদ। সবসময় দোয়ায় রাখবেন!

    ….

    ধরুন, আপনার মাথায় প্রশ্ন আসল যে বাংলাদেশের সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের গড় ব্লাড প্রেসার কত তা আপনি হিসেব করে দেখতে চান। এক্ষেত্রে কি করা যেতে পারে?

    এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে, আপনি বাংলাদেশের সব প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ব্লাড প্রেসার মেপে নিয়ে গড় হিসেব করবেন। কিন্তু, বাস্তবে আপনার পক্ষে তা সম্ভব নয়। কারণ, এর জন্য যে পরিমান রিসোর্স দরকার তা আপনার কাছে নেই।

    তাহলে আপনি কি করতে পারে? প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষদের মধ্যে র‍্যানডমলি কিছু মানুষ (স্যাম্পল) নিয়ে তাদের ব্লাড প্রেসার মাপতে পারেন। কিন্তু, আপনার এই স্যাম্পল থেকে আপনি বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের প্রকৃত গড় রক্তচাপ সম্পর্কে বলতে পারবেন না। কেননা, হতে পারে আপনি র‍্যানডমলি কিছু মানুষকে নিতে গিয়ে যাদেরকে বাদ দিয়েছেন তাদের প্রেসার ভিন্ন।

    ফলে আপনি আপনার স্যাম্পল থেকে গড় রক্তচাপের ব্যাপারে একটা রেঞ্জ প্রকাশ করতে পারবেন, যার মধ্যে প্রকৃত গড়ের হিসেবটা থাকবে বলে আপনি একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় (সাধারণত ৯৫%) কনফিডেন্ট। এই যে গড়ের পাশে আমরা একটা ইন্টারভাল প্রকাশ করি তাকে বলে কনফিডেন্স ইন্টারভাল।

    মজার বিষয় হল, আপনার স্যাম্পল যত বড় হবে, রেঞ্জটা ততই ছোটই হবে। মনে করি, আপনি ৪০০ স্যাম্পল নিয়ে গড় সিসটোলিক ব্লাড প্রেসার পেলেন ১১০, এবং কনফিডেন্স ইন্টারভাল : ৭০ – ১৪০। এখন ধরি, আপনি ১০০০ স্যাম্পল নিয়ে হিসেব করে দেখলেন এভারেজ সিস্টোলিক প্রেসার ১১০ বা তার কাছকাছি আছে। আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার কনফিডেন্স ইন্টারভাল কমে এসেছে: ৮০ – ১৩০। স্যাম্পল যদি আর বড় হয়, আপনার ইন্টারভাল আরও কমে আসবে।

    সুতরাং, স্যাম্পল বেশী হলে, আমাদের কনফিডেন্স ইন্টারভালে বিস্তৃতি কমে যাচ্ছে।

    ধরি, এরকম প্রায় ২০ টি রিসার্চ গ্রুপ বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বা পুরো বাংলাদেশে জুড়ে বিভিন্ন সংখ্যায় স্যাম্পল নিয়ে ব্লাড প্রেসার হিসেবে করেছেন। প্রতিটি রিসার্চে গড় পেসারের পরিমাপ ভিন্ন এবং স্বাভাবিক ভাবে বিস্তৃতির পরিমাপও ভিন্ন।

    এখন মনে করি, আপনি এই সবগুলো পাবলিকেশনকে একত্র করেছেন যে সবগুলোর এভারেজ প্রেসারের হিসেবটা নিয়ে একটা গড় করবেন। কারণ, আপনি জানেন যত বেশী স্যাম্পল সাইজ বাড়ানো যাবে ততই আপনি প্রকৃত হিসেবের কাছাকাছি পৌছুতে পারবেন। কিন্তু, সবার এভারেজ প্রেসার, বিস্তৃতি এবং স্যাম্পল সাইজ এর হিসেব একত্র করার পর আপনার মনে প্রশ্ন আসল, আমি কিভাবে এগুলোর এভারেজ করতে পারি? সবগুলো যোগ করে দিয়ে কি স্যাম্পল সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে দিবো? না, তা তো হবে না! কারণ, আপনার কাছেতো প্রতিটি ব্যাক্তির ড্যাটা আলাদা ভাবে নেই।

    তাহলে কি করা যায়? আমরা ওপরে বলেছিলাম যে স্যাম্পল ছোট হলে বিস্তৃতি বেশী হয়। সুতরাং, বিস্তৃতির হিসেবটাকে যদি উল্টে দিতে দেই, তাহলে বড় বিস্তৃতির জন্য একটা ছোট সংখ্যা আসবে এবং ছোট বিস্তৃতির জন্য একটা বড় সংখ্যা আসবে। যাকে আমরা বলতে পারি weight (বা ওজন।)।

    সুতরাং, আপনি যদি স্টাডিগুলো থেকে সংগৃহিত হিসেবের সাথে ওজন হিসেবে নিয়ে আসতে পারেন, তাহলে ছোট স্যাম্পলের স্টাডিতে কম ওজন এবং বড় স্যাম্পলের স্টাডিতের বেশী ওজন দিতে পারবেন। এভাবে, আপনি যে সম্মিলিত গড় পেসারের হিসেবটা কষবেন তা হবে ‘প্রকৃত’ গড়ের কাছাকাছি।

    উপরের এতগুলো কথার অবতারণা করলাম হল পরিসংখ্যানে কিভাবে ‘ওজন’ বিষয়টাকে গানিতিক আকারে নিয়ে আসা যায় তা বোঝানোর জন্য।

    এবার আসুন একটু সম্ভাব্যতার হিসেবে যাই। আমরা জানি, একটি পয়সার একটি হেড অথবা টেইল আছে। আপনি টস করলে মাটিতে হেইড বা টেইল পড়ার সম্ভাব্যতা ০.৫ । একটি লুডুর ঘুটি টস করলে ১ থেকে ৬ এর মধ্যে যে কোন একটি পড়ার সম্ভাব্যতা ১/৬ = ০.১৭ । তাসের একটি বাক্স থেকে না দেখে একটি কার্ড টানলে, সেটি কিং অব হার্ট হবার সম্ভাব্যতা ১/৫২ = ০.০২ । এভাবে, আমরা পৃথিবীতে মৃত্যুবরণ করব তার সম্ভাব্যতা ১ (অর্থাৎ, নিশ্চিত ভাবেই হবে)। আবার, একটি ছেলের গর্ভে বাচ্চা হবার সম্ভাব্যতা ০ (কারণ, গর্ভই নেই)। সুতরাং, আমরা দেখতে পাচ্ছি সম্ভাব্যতার হিসেবে ০ থেকে ১ এর মধ্যে যে কোন সংখ্যায় হতে পারে।

    এখন, মনে করি আপনি লুডু খেলছেন। আপনার কাছে যদি একটি ছক্কা থাকে, আপনি টস করলে টসে ছয় সংখ্যা পড়ার সম্ভাবনা হবে ০.১৭। কিন্তু, আপনি যদি ছক্কার সংখ্যা বাড়িয়ে দুটো করেন, আপনার অন্তত একটি ছয় পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে হবে ২/৬ = ০.৩৩। সুতরাং, আপনি যদি (প্রবাবিলিটি) রিসোর্স বাড়াতে পারেন, আপনার প্রত্যাশিত ফলের সম্ভাব্যনা বাড়বে। অর্থাৎ, রিসোর্স বাড়ানো কমানোর মাধ্যমে সম্ভাব্যতার কম বেশী করা যায়। এভাবে ছক্কার সংখ্যা বাড়াতে থাকতে পারলে, আপনি ছয় পড়ার সম্ভাবনাকে “১”-এর কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারবেন।

    এবার চলুন একটু কম্পিউটারের জগতে যাই। আমরা জানি, কম্পিউটার কাজ করে ট্রানজিস্টরের উপর ভিত্তি করে। যার দুটো স্টেট আছে- হয় “১” না হয় “০”। সুতরাং, এই ধরনের ট্রান্সজিস্টরের স্টেট সংরক্ষণ করতে চাইলে করতে হবে “১” বা “০” হিসেবে। ধরুন, আমরা চাচ্ছি ঠিক “১” এবং “০” সংরক্ষণ না করে একটি ট্রানজিস্টরে বিভিন্ন মাত্রার ওয়েইট সংরক্ষণ করতে। কারণ, শুধু “১” বা “০” সংরক্ষণ করার চেয়ে যদি ট্রানজিস্টর দিয়ে কি মাত্রায় বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারবে তা বিভিন্ন কানেকশন ওয়েইট দিয়ে নির্ধারণ করে দেয়া যায়, তাহলে আমাদের প্রত্যাশিত ফলাফল বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।

    মজার বিষয় হল, ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার ও কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে এ ধরনের একটি ‘মেমজিস্টর’ আবিস্কার করেছেন, যা কারেন্ট পাস করার জন্য বিভিন্ন মাত্রায় দরজা (weighted gate) খোলা রাখতে পারে এবং মনে রাখতে পারে। এটার সুবিধে কি? এটি ঠিক আগের বার কতটুকু ইলেকট্রিসি পাস করেছিলো তা মনে রাখতে পারে।

    এই মজার বৈশিষ্ট্য কাজে লাগিয়ে তৈরী করা হয়েছে আধুনিক নিউরাল নেটওয়ার্ক । নিউরাল নেটওয়ার্কে আমাদের ব্রেইনের মত অনেকগুলো সমান্তরাল সার্কিট থাকে। প্রথমবার যখন ইলেকট্রিসি পাস হয়, তখন সার্কিটের গেইটগুলো বিভিন্ন মাত্রায় ওয়েইট সংরক্ষণ করে। এই নেটওয়ার্কগুলোকে যখন ট্রেইন করা হয়ত, তখন বিভিন্ন সার্কিটে ওয়েইটের বিভিন্নতা তৈরী হয়। ফলে, একটি ট্রেইনড নেটওয়ার্কে যখন নতুন কোন তথ্যের ইনপুট দেয়া হয়, সে সঠিকের কাছাকাছি আউটপুট দিতে পারে। ফলে, যত নতুন তথ্য দিয়ে ট্রেইনিং হবে, উক্ত নেটওয়ার্কের ওভারওল সার্কিট ম্যাপের ওয়েইট, ততই সুন্দর কমবাইন্ড আউটপুট প্রেডিক্ট করতে পারবে। যেমন- জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফর্মার (জিপিটি) বা চ্যাটজিপিটি জাতীয় নিউরাল নেটওয়ার্ক ইনপুটের ভিত্তিতে ততই সঠিক উত্তর করতে পারে, বিভিন্ন ধরনের লেখা দিয়ে যত বেশী তাকে ট্রেইন করা হয় । লক্ষ্যনীয়, তার উত্তর হয় সম্পূর্ণ প্রবাবিলিস্টিক। অর্থাৎ, কোন ওয়ার্ডের পরে কোন ওয়ার্ড আসবে সেই সম্ভাব্যতার হিসেব কষে। তবে, এগুলো কিন্তু সে শিখে নিয়েছে মানুষের লেখা থেকে।

    এবার আসুন মানুষের ব্রেইনের সাথে বিষয়টাকে তুলনা করে ভাবি। আমরা যত বড় হতে থাকি, ততই বিভিন্ন ধরনের তথ্য ব্রেইনে ইনপুট হয়। ফলে, আমাদের নিউরাল রিপ্রেজেন্টশনের ভেতর তা ওয়েইট হিসেবে সংরক্ষিত হতে থাকে। আপনি যত দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক কাজ করবেন, ততই তা আপনার ব্রেইনের সার্কিটকে ট্রেইন করতে থাকবে। সুতরাং, বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার চিন্তার ম্যাচুরিটি বাড়বে এবং সাবকনসাস দক্ষতা বাড়বে। আপনি যদি চিকিৎসক হন, আপনার অর্জিত দক্ষতা হবে সম্পূর্ণ আপনার নিজস্ব। যা ট্রান্সফারেবল না। অর্থাৎ, দক্ষতা আপনি কাউকে শিখিয়ে দিতে পারবেন না। বরং, আপনার ছাত্রের তা নিজে করে অর্জন হবে।

    আমার ধারণা, আমাদের চিন্তার চর্চার মাধ্যমেও আমাদের ব্রেইনের ওয়েইট রিপ্রেজেন্টেশনকে প্রভাবিত করতে পারি। লক্ষ্যনীয়, এবস্ট্রাক্ট চিন্তা করার ক্ষমতা মানুষের ইউনিক বৈশিষ্ট্য। এ বিষয়টি ঐচ্ছিক (volitional) এবং এটি নন কমপিউটেবল। কেননা, চ্যাট জিপিটি আউটপুট দেয় একটা ইনপুটের উপর ভিত্তি করে। কিন্তু, মানুষ কোন ইনপুট ছাড়াই শুধু অ্যাবস্ট্রাক্ট থটের মাধ্যমে আউটপুট তৈরী করতে পারে। একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝাই- ধরুণ, আপনার একটি প্রশ্নের উত্তরে চ্যাট জিপিটি লিখেছে, “আমি ভাত খাই”। এখন, চ্যাট জিপিটিকে যদি, “আমি ভাত খাই” এই ধরনে তিনটি বাক্য এবং “আমি কলা খাই” এ ধরনের দুটি বাক্য দিয়ে ট্রেইন করা হয় এবং আপনি তাকে, আমি — খাই লিখে শুণ্যস্থান পূরণ করতে বলি, সে আমি ভাত খাই লেখার সম্ভাবনা বেশী থাকবে। এবার ধরে নেই, আমাদের ব্রেইনের নিউরাল নেটওয়ার্ক অনেকটাই এরকম। সুতরাং, আমি ছোটবেলা থেকে বড় হতে হতে এরকম অসংখ্য বাক্য দিয়ে ট্রেইন আপ হয়েছি। আমাকে যদি কেউ বলে “আমি … খাই” এ বাক্যটি পূরণ করতে, আমাদের টেন্ডেন্সি হওয়া উচিৎ সবচেয়ে বেশীবার যে বাক্যটা শুনেছি তা দিয়ে পূরণ করতে। কিন্তু, আমরা “ইচ্ছে” করলে অল্টারনেট খাবার চয়েজ করতে পারি। যেমন- বলতে পারি “আমি আইসক্রিম খাই” বা “আমি আম খাই”। এমন কি তা ট্রেইনেংর ফলে সৃষ্ট ওয়েইট রিপ্রেজেন্টশনের বিপরীতে গিয়ে।

    তদুপরি, হতে পারে আমি আমার শেখা শব্দাবলী বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন একটি শব্দ তৈরী করলাম। যেমন- আমি “টাম” খাই এবং “টাম” অর্থ কি শুধু আমার মাথায় রেখে দিলাম। হয়ত, আমি এটিকে কাঠালের নাম হিসেবে চিন্তা করেছি। অথবা, সম্পূর্ণ কাল্পনিক কোন ফল হিসেবে চিন্তা করছি। অর্থাৎ, আমি চাইলে সর্ম্পূন unrelated দুটো বিষয় relate করে একটা মিনিং তৈরী করে রাখতে পারি। কিন্তু, আমি যতক্ষণ পর্যন্ত এই মিনিংটা প্রশ্নকারীকে না বলব, সে শব্দটি অর্থহীন মনে করতে থাকবে। যখন আমি মিনিংটা বুঝিয়ে বলব, তখন হয়ত প্রশ্নকারী বুঝতে পারবে। এমন কি আমার যদি যথেষ্ট সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা থাকে একটি নতুন শব্দ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে যাবে। যেমন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত আর্টিস্টটা কিছু নতুন শব্দ সংযোজন করেছেন বাংলা অভিধানে সংযুক্ত করেছেন। একই ভাবে, পাবলো পিকাসো নতুন প্রকারের আর্টফর্ম নিয়ে এসেছেন, বিথোভেন নতুন ধরনের মিউজিক রচনা করেছেন। জিপিটি, ডাল-ই, কিংবা সোরা শুধু মানুষের বানানো তথ্য থেকে শিখে নিয়ে লেখা, ছবি বা ভিডিও জেনারেট করতে পারছে। কিন্তু, মিনিং আপনাকে দিয়ে দিতে হচ্ছে। অন্যকথায়, আপনি কোন বস্তুর সাথে বস্তুকে সম্পূর্ণ আব্রিটারীলি রিলেট করবেন, তা আপনাকে টেক্সট-এর মাধ্যমে শুধু এই মডেলগুলোকে বলে দিতে হচ্ছে।

    এজন্যই আমার যেদিন প্রথম রিয়েলাইজেশন হয়েছিল যে, “The unique feature of human intellect is associating two completely unrelated objects with purpose” তথা “মানুষের বুদ্ধিমত্তার স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দুটো সম্পূর্ণ অসম্পর্কিত বস্তুকে পরস্পর একটি উদ্দেশ্য সহকারে জুড়ে দেয়া”, সেদিন থেকে বাক্যটি আমি আমার ফেসবুকের প্রোফালের ইনট্রোতে দিয়ে দেখেছি।

  • পড়াশোনা কিভাবে করবেন?

    ভেবে দেখলাম জীবনে তিনটা কারণে পড়াশোনা করেছি। তিনটি ক্ষেত্রে অবশ্য পড়াশোনার ধরণ ছিলো ভিন্ন।

    এক, পরীক্ষা পাশের জন্য। এই পড়ালেখাটা ছিলো খুবই সীমাবদ্ধ এবং সিলেবাস ভিত্তিক। পরীক্ষার আগে অনেকটা মুখস্থ করা জন্য।

    দুই, কোন প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য। এই পড়ালেখাটা মূলত শুরু হয়েছে ক্লাস এইট থেকে। প্রশ্নগুলোকে অনেকটা থিওলজি, রিলিজিওন, ফিলোসফি এবং সায়েন্স ক্যাটেগরিতে ফেলা যায়। শুরুটা হয়েছিল তাকদির দিয়ে। এরপর, প্রজাতির উৎপত্তি (বিবর্তনবাদ, ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন), জীবের উৎপত্তি (অ্যাবায়োজেনেসিস), মহাবিশ্বের উৎপত্তি (কসমোলজি), মাইন্ডের ধরণ ও আত্মার অস্তিত্ব (ফিলোসফি অব মাইন্ড, কম্পিউটার সায়েন্স, কোয়ান্টাম মেকানিক্স), এবং ফিলোসফি অব রিলিজিওন। এই পড়ালেখার সময় বেশী বেইনস্টর্ম করতে হয়েছে। অবশ্য এটি এখনও চলছে। কখনও কম, কখনও বেশী।

    তৃতীয়, কোন স্কিল অর্জন করতে গিয়ে। যেমন, ক্লিনিক্যাল স্কিল, রিসার্চ স্কিল এবং স্ট্যাটিসটিক্যাল স্কিল। এ পড়ালেখার ধরণ ছিল অনেকটা নিড বেইজড। যতটুকু জানা প্রয়োজন, ততটুকু ঠিক গভীরে থেকে জেনে আসা। যেন ফাউন্ডেশনটা ভাল হয়।

    মনে পড়ে, এমবিবিএস-এর পর, বিবর্তন ও ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন থিউরী পড়তে গিয়ে মনে হল যে জেনেটিক্সটা ভাল মত বোঝা দরকার। ফলে, আমাদের দু্টো টেক্স বই ছিল লিপিনকট এবং হার্পার। দুইটা বই খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ে ফেললাম। আলবার্ট সাহেবের মলিকিউলার বায়োলজি অব সেল বইটিও কিনে ফেলেছিলাম, পড়বো বলে। ঢাউস সাইজের বইটা পড়া হয়ে ওঠেনি। তবে অন্য একটা বেশ বড় বই পড়া হয়েছে নিউরোসায়েন্স নিয়ে। মাইন্ড কিভাবে কাজ করে ভাবতে গিয়ে মনে হল নিউরোসায়েন্স ইন ডেপ্থ বোঝা দরকার। ডেল পার্ভস এর একটা টেক্স বই আছে, পুড়োটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।

    তবে, টেক্সবই না পড়লেও এই বিষয়গুলো সম্পর্কিত পপুলার বই পড়া হয়েছে অনেকগুলো এবং আর্টিকেল হয়ত কয়েক হাজার।

    এইসব পড়তে গিয়ে অবশ্য নিজের পাঠ্যবই-এর মনোযোগ গিয়েছিলো কমে। কিন্তু, সমস্যা হয়নি তেমন। কারণ, বিষয়গুলো রিলেটেড হওয়ায় মেডিসিনের পাঠ্যবই ডেভিডসনের অনেককিছুই বুঝতে সুবিধে হয়েছে।

    তবে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধরনের পড়ার স্টাইল আমি সবচেয়ে বেশী উপকারী হিসেবে পেয়েছি। এই পড়ার ফলে একটা লং-টাইম কনসেপচুয়ের মেমরী ডেভেলপ করেছে।

    ইদানিং, এই দীর্ঘ পড়ালেখা, লিখালিখি এবং স্কিল তৈরীর ফল ক্যারিয়ারেও পাচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ। হয়ত এ কারণেই এমফিল এডমিশন পরীক্ষায় শুধু অংশগ্রহণ করতে গিয়ে চান্স পেয়ে গেছি। জীবনের প্রথম IELTS পরীক্ষায় কোন সিরিয়াস প্রিপারেশন ছাড়াই ব্যাণ্ড স্কোর ৮ পেয়েছি। অবশ্য মহান রবের রহমাহ ছাড়া এগুলো সম্ভব হতো না। সকল প্রশংসা তাঁর।

    আমি সবাইকে অনুরোধ করবো বুঝে পড়ার অভ্যাস করতে এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টে মনোযোগ দিতে। শুধু মুখস্থ করে কোন লাভ নেই, যদি আপনি না বুঝেন। আবার, শুধু বুঝে লাভ নেই, আপনি যদি জ্ঞান এপ্লাই না করতে পারেন।

  • হতাশ না হই!

    জীবন আপনাকে কোন কোন সময় অবিরাম কষ্ট দিবে, দুঃখ দিবে, পাহাড়সম না পাওয়ার বেদনা দিয়ে ঘিরে রাখবে।

    এভাবে আপনাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবে যেন আপনার দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। আপনাকে এমনভাবে মোচড়াবে যেন আপনি ভেঙ্গে পড়েন।

    কিন্তু, এই সময়ে যদি ধৈর্য্য ধারণ করতে পারেন এবং দয়াময়ের কাছে সাহায্য চাইতে থাকতে পারেন। দেখবেন, আপনার সাহায্য করার জন্য কেউ না কেউ কাছে থাকবে। এমনও হতে পারে, আপনি যার কাছে সাহায্য কখনও আশা করেন নি, তার কাছ থেকেই সবচেয়ে সঙ্গীন মূহুর্তের সহযোগিতা পেয়েছেন।

    এভাবে দীর্ঘ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আপনি যদি উত্তীর্ণ হতে পারেন, মনে হবে এক একটা ঘটনা হচ্ছে এক একটি piece of puzzle। যে ঘটনাগুলো আপনার কাছে আপাত কষ্টের মনে হচ্ছিল, আসলে তা ছিল আপনাকে গড়ে নেয়ার জন্য তাঁর পরিকল্পনা। যে না পাওয়ার মধ্য দিয়ে আপনি গিয়েছেন, তা ছিল কোন কঠিন সময়ের অল্পে তুষ্ট থাকার ট্রেইনিং।

    অতএব, চলুন হতাশ না হই। হতাশা প্রাণশক্তিকে নষ্ট করে দেয়। কখনও হতাশা চলে আসলে, ফুটপাতে গভীর ঘুমে নিমগ্ন মানুষটার দিকে তাকান, ছেড়া স্যান্ডেলের ঠেলাগাড়ি ওয়ালার পায়ের দিকে দেখুন, কয়েক হাজার টাকা বেতনের বৃদ্ধ দাড়োয়ানের দিকে দৃষ্টি দিন।

    আপনি এই পোস্ট পড়ছেন। সুতরাং, আপনি তাদের চেয়ে অন্তত ভাল আছেন।

    প্রজ্ঞাময় আমাকে আপনাকে যে কাঠিন্যের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, হয়ত তা একটি বিরাট সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবার পরিকল্পনারই অংশ। হোক তা এপারে বা ওপারে।

  • হোমোলোজী ডাস নট মিন কমন এনসেস্ট্রি

    জেনেটিক সিমিলারিটির কথা বলে কমন এনসেস্ট্রিকে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন একটি চতুরতার আশ্রয় বই কিছু নয়। জীবদেহের ডিএনএ যেহেতু চারটি অক্ষর নিয়ে গঠিত সুতরাং যে কোন দুটো প্রজাতিতে তুলনা করলেই প্রায় ২৫% সিমিলারিটি পাওয়া যাবে।

    তারপরও,আপনি যদি কেবল ২% ডিফারেন্স-এর কথাই চিন্তা করেন, দেখবেন মানুষ ও এপ-এ ৩ কোটি ৫০ লক্ষ নাইট্রোজেন বেজ-এর পার্থক্য আছে। হ্যা, ৩,৫০,০০,০০০ বেজ-এর পার্থক্য। (িন কোডিং জিন নিয়ে কৃত সিমিলারিটির উপর ভিত্তি করে। অন্য দিকে নন-কোডিং রিজিওনে মানুষের সাথে এপ-এর সিমিলারিটি কমপেয়ার করলে কোন কোন জেনেটিসিস্ট-এর মতে তা ৭০%-তে এসে থামে। (১)

    তারপর, আপনি যদি কেবল ২% ডিফারেন্স-এর কথাই চিন্তা করেন, দেখবেন মানুষ ও এপ-এ ৩ কোটি ৫০ লক্ষ নাইট্রোজেন বেজ-এর পার্থক্য আছে। হ্যা, ৩,৫০,০০,০০০ বেজ-এর পার্থক্য। (২)

    সুতরাং হিউম্যান ও এপ একই পূর্বসূরী থেকে এসেছে দেখাতে হলে দেখাতে হবে কিভাবে এই বিপূল সুনির্দিষ্ট পার্থক্য ‘বিবর্তন’ নামক এলোপাতাড়ি প্রক্রিয়ায় এসেছে।

    আপনি পুরো নেট ঘেটে একটা আর্টিকেলও পাবেন না যা এই সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার ডিটেইলড কোন আউটলাইন দিয়েছে। যত আর্টিকেল পাবেন তাতে কমন এনসেস্ট্রিকে সত্য ধরে নিয়ে রচিত কিছু ‘জাস্ট সো’ স্টোরি।

    ………….

    ১. http://blog.drwile.com/human-and-chimp-dna-only-70…/

    ২. http://genome.cshlp.org/content/15/12/1746.full

  • হঠাৎ_ভাবনা: ২

    ছোটবেলা থেকেই আমার ম্যাথ, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং বিশেষ করে  বায়োলজির প্রতি আলাদা একটা আকর্ষণ কাজ করত। এর পিছনে অন্যতম কারণ বলে মনে করি আমার ভিতরের স্রষ্টায় বিশ্বাস নিয়ে সৃষ্ট কনফিউশন । ক্লাস এইট থেকে কনফিউশনের শুরু। মুসলিম ব্যকগ্রাউণ্ড থেকে উঠে আসায় স্বাভাবিকভাবেই কনফিউশনের উত্তর খুঁজতে হাতের কাছে থাকা বিভিন্ন বই পড়েছি। তবে কোরআন পড়তে গেলে একটা বিষয় সবসময় আমার চিন্তায় অনুরণন হত যে আল্লাহ বলছেন তার সৃষ্টিতে বুদ্ধিমানদের জন্য নিদর্শন আছে।

    আলহামদুলিল্লাহ এই বায়োলজি ও মলিকিউলার বায়োলজির জ্ঞানই আমার স্রষ্টা বিশ্বাসের কনফিউশন দূর করতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো।

    মেডিকেলে পড়ার সুবাদে মানুষের ইন্ট্রিকেট গঠন নিয়ে পড়ার সুযোগ হয়েছে। মলিকিউলার লেভেল থেকে অর্গানিক লেভেল পর্যন্ত মানুষের কমপ্লেক্সিটি ও ইন্টেগ্রেটেড কমপ্লিমেন্টারী অর্গ্যানাইজেশন  যতই পড়েছি ততই এর পিছনের ডিজাইনারের প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় হয়েছে এবং প্রতিবার স্রষ্টার কাছে শুকরিয়া আদায় করেছি। আলহামদুলিল্লাহ।

    আল্লাহর নিদর্শন দেখে তার শুকরিয়া আদায় করাটা একজন বিশ্বাসীর সহজাত ফিতরাত হওয়ার কথা। কিন্তু, ডারউইনিজম আমাদের এই ফিতরাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।

    ডারউইনিজম হল ফিলোসফিকাল ন্যাচারিজম-এর একটি বিলিফ সিস্টেম যা আমাদের বলছে যে যখন বায়োলজির মধ্যে ডিজাইন দেখবে তখন মনে করার কোন কারণ নাই যে তা কোন ডিজাইনার করেছে। এগুলা নাকি এলোমেলো হয়েছে। সিম্পল থেকে অধিকতর কমপ্লেক্স ডিজাইন আসছে এলোপাতাড়ি মিউটেশনের কারণে।

    আপনাকে বলা হয় বিজ্ঞান চর্চার সময় মেথডোলজিকাল ন্যাচারালিজম ফলো করতে। অর্থাৎ বিজ্ঞান চর্চার সময় আপনি ডিজাইন দেখে ডাউকিন্সের মত বলবেন: Biology is the study of complicated things that give the appearance of having been designed for a purpose (1). অর্থাৎ, এগুলো ডিজাইনড না বরং, ডিজাইনড বলে মনে হয়।  অথবা, ফ্রান্সিস ক্রিকের মত কোষের ডিজাইন দেখার সময় মনে রাখবেন যে: Biologists must constantly keep in mind that what they see was not designed, but rather evolved. (2)

    অর্থাৎ, আপনি বিশ্বাসী হলেও আল্লাহর সৃষ্ট ডিজাইন দেখে প্রশান্তি নিয়ে আল্লাহর প্রশংসা করতে পারবেন না। কারণ, আপনাকে ‘মেথোডোলজিকাল ন্যাচারালিজম’ ফলো করতে হবে। কিন্তু,  আপনাকে এই রুল কে দিয়েছে? বায়োলজিতে একটি  ডিজাইনের পিছনের ডিজাইনারের ইনফারেন্স টানা যাবে না এ বিষয়ে আপনাকে কারা বাধ্য করছে? কেন করছে?

    একজন আর্কিওলজিস্ট কোন প্রাচীন আর্টিফেক্ট পেলে কিছু নিদর্শনের আলোকে বলছে এগুলো কোন বুদ্ধিমান সত্তা করে থাকবে। সার্চ ফর এক্সট্রাটেরিস্ট্রিয়াল ইনটেলিজেন্স (সেটি) প্রোগ্রামের বিজ্ঞানীরা ‘ইন্টেলিজেন্ট’ সিগনাল-এর অপেক্ষায় আছে- ইনটেলিজেন্ট এলিয়েন ডিটেকশনের জন্য। ক্রিপ্টোলজিস্টরা নয়েজের মধ্যে থেকে বুদ্ধিমান মানুষ কর্তৃক ক্রিপটিক ম্যাসেজ বের করার চেষ্টা করছে। কিন্তু, বায়োলজীতে, মোর স্পেসিফিক্যাল, ডিএনএতে আপনাকে এনকোডেড ইনফরমেশন দেখেও আপনাকে বলতে হবে যে এগুলো এলোপাতাড়ি প্রক্রিয়ায় আসছে। আর্কিওলজি, সেটি ডিজাইন খুঁজে বের করলে পদ্ধতিগত বস্তুবাদ (মেথডলজিকাল ন্যাচারালিজম) থেকে বের হয় না, কিন্তু, বায়োলজিতে ডিজাইন খুঁজলে আপনি পদ্ধতিগত বস্তুবাদ থেকে বের হয়ে যান। পরিস্কার ডাবল স্ট্যান্ডার্ড।

    ম্যাথোডোলিক্যাল ন্যচারালাজিম ফলো করতে বলার মধ্য দিয়ে আপনার সাবকনসাসে ফিলোসফিক্যাল ন্যাচারাজিমকে গোপনে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে যে স্রষ্টার উপস্থিতি তার সৃষ্টিতে আপনি স্পষ্ট অনুভব করতে করতে পারেন, আপনার ফিলোসফিকাল এলিগিয়েন্স পরিবর্তিত হয়ে যাওয়ায় আপনি তা পারছেন না।

    ইন ফ্যাক্ট, যারা বায়োলজির ওভারহেলমিং ডিজাইন দেখে ডারউইনিয়ান প্রসেসকে ইনএডেকোয়েটে হিসেবে অনুধাবন করছে তারাও প্যানস্পারমিয়া নামক প্রক্রিয়ায় জীবের উৎপত্তির ব্যাখ্যা দিচ্ছে। (3) অর্থাৎ, বাইরে থেকে ‘সামহাউ’ এই ইনট্রিকেট ডিজাইন পৃথিবীতে আসছে। কিভাবে আসল এই প্রশ্ন অন্যদের ইনভেস্টিগেশনের জন্য রাখা আছে।

    কতটা হাস্যকর ডিজাইনের উপস্থিতি পেয়েও ফাইনাল কজ হিসেবে ‘ডিজাইনারকে’ অস্বীকার করার চেস্টা।

    বিশেষ করে আপনি যখন এদেরকে বলবেন ডিজাইনারের কথা  তারা প্রশ্ন করবে: ডিজাইনারকে কে ডিজাইন করল? অর্থাৎ, এদের ফিলোসফিকাল কনফিউশান বা প্রিসাপোজিশন তখন বের হয়ে আসে। অর্থাৎ, এরা যতই বৈজ্ঞানিক ইনভেস্টিগেশনের সময় ফিলোসফিকালী নিউট্রাল থাকার অভিনয় করুক না কেন, প্রকৃতভাবে এরা অধিকাংশ ফিলোসফিক্যালী বস্তুবাদী।

    লক্ষ্য করুন, যে কোন ঘটনার কার্যকারণ হিসেবে চার ধরনের কজ-এর কথা এরিস্টটল বলেছেন। যারা বিশ্বাসী তারা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের সময় স্রষ্টাকে (ফিলোসফিক্যালী বা রিভিলেশন-এর মাধ্যমে) ফাইনাল কজ হিসেবে জেনেই অন্যান্য কজগুলোকে জানার চেষ্টা করে বা করতে পারে। সেক্ষেত্রে জীবজগতের ডিজাইন থেকে স্রষ্টার নিদর্শন চোখে পড়ে এবং বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়। কিন্তু, ডারউইনিজম (যেভাবে একে নিওএথেইস্টরা উপস্থাপন করে থাকে) তার দার্শনিক বস্তুবাদী বায়াসের কারণে ডিজাইন থেকে ডিজাইনারের ইনফারেন্সকে বাধা দেয়।

    একজন বিশ্বাসীর সহজাত প্রবণতা হল সৃষ্টিতে স্রষ্টার নিদর্শন দেখে আল্লাহর প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা করবে। কিন্তু, ডারউইনিজম এই সহজাত প্রবণতা তথা ফিতরাতকে নষ্ট করতে চায়।

    আর এ কারণেই প্রয়োজনীয় এভিডেন্স না থাকা সত্যেও ডারউইনিজমকে বিজ্ঞান হিসেবে উপস্থাপন করার একাদেমিয়াতে আজ সর্বগ্রাসী তৎপরতা। 


    বি.দ্র. : আমি কিন্তু, বিবর্তনবাদের কথা বলিনি, বলেছি ডারউইনবাদের কথা। বিবর্তনবাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব যা প্রজাতির ভ্যারিয়েশনকে টু সাম এক্সটেন্ট ব্যাখ্যা করে। ডারউইনবাদ হল এই তত্ত্বের সর্বগ্রাসী প্রয়োগ।

     

    Reference:

    1. Quoted from “The Blind Watchmaker”

    2. Quoted from ‘What Mad Pursuit’ 3. Steele, E. J., et al (2018) “Cause of Cambrian Explosion – Terrestrial or Cosmic?”,Progress in Biophysics and Molecular Biology, 136. pp. 3-23

  • #হঠাৎ_ভাবনা: ১ জীবনের মিনিং কি?

    জীবনের মিনিং কি? খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।

    নাস্তিকতাবাদ অনুযায়ী জীবন অর্থহীন। নাস্তিকদের গুরু রিচার্ড ডকিন্স-এর ভাষায় জীবন সম্পর্কে ম্যাচুর দর্শন হচ্ছে জীবনের কোন মিনিং নাই-

    There is something infantile in the presumption that somebody else has a responsibility to give your life meaning and point… The truly adult view, by contrast, is that our life is as meaningful, as full and as wonderful as we choose to make it.”

    ― Richard Dawkins, The God Delusion

    অর্থাৎ, যদি নাস্তিকতাবাদ সত্য হয়, তাহলে:

    We are machines built by DNA whose purpose is to make more copies of the same DNA. … This is exactly what we are for. We are machines for propagating DNA, and the propagation of DNA is a self-sustaining process. It is every living object’s sole reason for living

    -Richard Dawkins, Royal Institution Christmas Lecture, ‘The Ultraviolet Garden’, (No. 4, 1991)

    আমি ভাবছিলাম জীবন সম্পর্কে হতাশ একটা ছেলে বা মেয়ে, যার আত্মহত্যার প্রবণতা আছে, নাস্তিকতাবাদ তাদের কে কিভাবে কাউন্সিলিং করবে?

    এক, যদি উক্ত ডিপ্রেশনের রোগীর হতাশা এই জন্য এসে থাকে যে যে অর্থনৈতিক ভাবে ভাল করতে পারছে না তাহলে, নাস্তিকতাবাদ তাদের সম্পূর্ণ বস্তুবাস্দী দৃষ্টিকোন থেকে বুঝাতে পারে যে, হতাশ হওয়ার কিছু নেই, কারণ অনেকেই জীবনের প্রথম পর্যায়ে কিছু না করেও পরে সফল হয়েছে। আর যদি ডিপ্রেশন অন্য কোন কারণে হয়? যেমন, ধরুন ‘জীবনের মিনিং কি?’ এই প্রশ্নের অনুসন্ধান করতে গিয়ে কেউ যদি হতাশ হয়ে ভাবে যে জীবন অর্থহীন অতএব এ জীবন সে রাখবে না?

    দুই, নাস্তিকতাবাদ, নিজের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি অসৎ থেকে মিথ্যা বলতে পারে যে, জীবনের আসলে মিনিং আছে। ভাল কাজের ফল মৃত্যুর পর পাওয়া যাবে। নাস্তিকতাবাদ অবশ্য এটা করতে পারে। কারণ নাস্তিক্য মোরাল রিলেটিভিজম অনুযায়ী ‘মিথ্যা’ বলার কোন চূড়ান্ত খারাপ পরিনতি নাই ।

    তিন, নাস্তিকতাবাদ তাকে ‘ইউথ্যানাসিয়ার’ পথ বাতলে বলতে পারে ঠিকাছে তুমি যখন মরতেই চাও, তাহলে অজ্ঞান হওয়ার বা মরার ওষুধ নিয়ে শান্তিতে মর।

  • স্রষ্টার অস্তিত্বের পক্ষে কালাম কসমোলজিক্যাল আর্গুমেন্ট:

    ১. যা কিছুর শুরু আছে তার শুরু হওয়ার পিছনের কোন কারণ আছে

    ২. এই মহাবিশ্বের শুরু আছে

    ৩. অতএব এই মহাবিশ্বের শুরু হওয়ার পিছনে কারণ আছে

    উক্ত কারণের বৈশিষ্ট্য- উক্ত কারণ হলেন এমন একজন স্বত্ত্বা যিনি সর্বশক্তিমান, সময়ের উর্দ্ধে, অপরিবর্তনীয়, অশরীরী, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি সম্পন্ন ।

    ১ নং- এর ব্যাখ্যা


    ক. শূণ্য থেকে কোন কিছু একা তৈরী হতে পারে না

    খ. যদি শূন্য থেকে কোন কিছু একা তৈরী হতে পারতো তাহলে প্রতি মূহুর্তে যে কোন কিছু কেন শূন্য থেকে তৈরী হয়ে যাচ্ছে না তা ব্যাখ্যা করা সম্ভব হত না

    গ. আমাদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা এবং বৈজ্ঞানিক প্রমাণাদি বলে যে শূণ্য থেকে কোন কিছু তৈরী হয় না

    ২ নং-এর ব্যাখ্যা

    ক. দার্শনিক ব্যাখ্যা

    – যদি মহাবিশ্বের শুরু না থেকে থাকে তাহলে আমাদের মহাবিশ্বের অস্তিত্ব কিভাবে আসল ব্যাখ্যা করা যায় না

    – কারণ প্রকৃত অসীম (Actual infinity) সম্ভব নয়। কেন?

    – কারণ, কোন ঘটনা সংকলন যা একটার পর একটা যোগ করে তৈর হয় তা কখনও প্রকৃত অসীম হতে পারে না

    – সময়যুক্ত কোন ঘটনা পরম্পরা হল উক্ত ধরনের ঘটনা সংকলন

    – সুতরাং সময়যুক্ত ঘটনা পরম্পরা প্রকৃত অসীম হতে পারে না

    খ. বৈজ্ঞানিক প্রমান

    – হাবল টেলিস্কোপে আবিস্কৃত তারকারাজির রেড শিফট যা প্রমাণ করে যে নক্ষত্রগুলো একটি থেকে আরেকটি দূরে সরে যাচ্ছে

    – উইলসন ও পেনজিয়াস আবিস্কৃত কসমিক ব্যাকগ্রাউণ্ড রেডিয়েশন প্রমাণ করে আমাদের মহাবিশ্বে এক্সপ্লোসিভ অরিজিন

    – বোর্ড-গুথ-ভিলেনকিন থিওরেম প্রমাণ করে যে ক্লাসিকাল স্থান-কালকে অতীতে অসীম পর্যন্ত বর্ধিত করা যায় না

    – তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী যে কোন এক মহাবিশ্ব বা চাক্রিক মহাবিশ্বের এনট্রপি বাড়তে থাকবে যতক্ষণ না তা ভারসাম্য পৌছায়

    ৩-নং এবং এর ব্যাখ্যা-

    এই মহাবিশ্বের শুরু হওয়ার কারণ-এর কেমন হতে হবে?

    – উক্ত কারণের অস্তিত্বের কোন কারণ থাকা যাবে না। কেননা, তার অস্তিত্বের কারণ থাকলে উক্ত কারণের কারণ থাকবে ও উক্ত কারণের কারনের কারণ থাকবে এবং এভাবে অসীম পর্যণ্ত যেতে হবে। কিন্তু আমরা দেখেছি প্রকৃতি অসীম সম্ভব নয়।

    – উক্ত অস্তিত্ব হতে হবে ব্যাক্তিগত স্বত্ত্বা (personal being)। কেননা, এছাড়া ব্যাখা করার উপায় নেই যে কিভাবে একটি অসীম (eternal) কারণ থেকে সসীম ঘটনা এল

    – উক্ত অস্তিত্বের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে। কেননা, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি ছাড়া ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয় যে কেন উক্ত স্বত্ত্বার সাথে মহাবিশ্ব সহউপস্থিত নয়।  

    – তার অস্তিত্ব হতে হবে অশরীরী

    – তার অস্তিত্ব হবে অপরিবর্তনীয়

    – তিনি হবেন সময়ের উর্দ্ধে

    – তিনি হবেন সর্বশক্তিমান

    ইসলাম অনুযায়ী উক্ত সর্বশক্তিমান, সময়ের উর্দ্ধে, অপরিবর্তনীয়, অশরীরী, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি সম্পন্ন স্বত্ত্বার নাম হল আল্লাহ। 

    ……..

    রেফারেন্স রিডিং- https://www.reasonablefaith.org/writings/popular-writings/existence-nature-of-god/the-kalam-cosmological-argument/

  • স্রষ্টা অস্তিত্বের পক্ষে কন্টিনজেন্সি আর্গুমেন্ট:

    -কোন সাপেক্ষ অস্তিত্ব (Contingent being), যার অস্তিত্ব থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে, তার অস্তিত্বশীল হওয়ার পিছনে কোন কারণ আছে

    -কোন সাপেক্ষ অস্তিত্ব স্ব-অস্তিত্বশীল হতে পারে না

    -সাপেক্ষ অস্তিত্ব-এর অস্তিত্বশীল হওয়ার কারণ হয় অন্য কোন সাপেক্ষ অস্তিত্ব বা আবশ্যকীয় অস্তিত্ব

    -কোন সাপেক্ষ অস্তিত্ব অন্য কোন সাপেক্ষ অস্তিত্বের অস্তিত্বশীল হওয়াকে পূর্ণভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে না

    -কোন সাপেক্ষ অস্তিত্ব অস্তিত্বশীল হওয়ার ব্যাখ্যা চূড়ান্ত ভাবে কেবল আবশ্যকীয় অস্তিত্বই দিতে পারে

    -মহাবিশ্ব বা সকল সম্ভাব্য মহাবিশ্ব হল সাপেক্ষ অস্তিত্ব

    -অতএব মহাবিশ্বের অস্তিত্বশীল হওয়ার পিছনে কোন আবশ্যকীয় অস্তিত্ব আছে

    -অতএব আবশ্যকীয় অস্তিত্ব আছে

    আবশ্যকীয় অস্তিত্বের প্রয়োজনীয় বৈশিস্ট্য:

    ১. ইচ্ছা শক্তি

    ২. সময়ের উর্ধ্বে

    ৩. অপরিবর্তনশীল

    ৪. সর্বশক্তিমান

    ৫. সর্বজ্ঞানী

    ৬. একক

    কোরআনে আলোকে উক্ত আবশ্যকীয় অস্তিত্ব হলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা।