Category: অন্যান্য

  • উহান করোনা ভাইরাস

    নতুন করোনা ভাইরাস ও আমাদের করনীয়
    ..

    ২০০৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী। বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার কাছে একটি ফোন আসল। কে ফোন করেছে? গনচীনের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় থেকে ফোন। তারা ২০০২ সালের শেষের দিকে চীনের গুয়াংডং প্রদেশে অন্যরকম কিছু নিউমোনিয়ার (Atypical Pneumonia) কেস পেয়েছে যাদেরকে সাধারণ চিকিৎসা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা যাচ্ছে না। ফেব্রুয়ারী গড়িয়ে মার্চ যেতে না যেতেই এ ধরনের আরো কেস আবিস্কার হতে লাগলো ভিয়েতনাম, হংকং, কানাডা ও সিঙ্গাপুরে।

    দেখা গেল এটি শ্বাসযন্ত্রের নতুন একটি রোগ যা খুবই ভয়াবহ আক্রমন করে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। নতুন রোগের নাম দেয়া হল Severe Acute Respiratory Syndrome (SARS) । রোগটা দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে অন্যদের শ্বাসনালীতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবস্থার ভয়াবহতা আঁচ করতে পারল। ২০০৩ সালের ১২ই মার্চ এক সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্বব্যাপী সতর্কতা জারি করা হল।

    কয়েকদিনের মধ্যেই সার্সের কারণ হিসেবে আবিস্কার হল একটি ভাইরাস। যাকে বলা হয় সার্স করোনা ভাইরাস। গুয়াংডং প্রদেশের কোন একটি গবাদীপশুর বাজার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হয়।

    সেইবার পুরোবিশ্বে ২৯টি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল যা প্রায় ৮০৯৮জনকে আক্রমন করে ৭৭৪ জনের মৃত্যু ঘটায় (৯.৪%)।

    ভাইরাস মানুষের শ্বাসনালীতে অহরহই আক্রমন করে। প্রতি বছরই আমরা অনেকেই কমন কোল্ড-এ ভুগি। কিন্তু, করোনা ভাইরাসের মত দ্রুত মৃত্যূ খুব কম ভাইরাসই ডেকে আনে। গতবছর আমাদের দেশে যে ডেঙ্গু ভাইরাস আক্রমন হয় তাতে সঠিক সময় চিকিৎসা করায় মৃত্যু হার ০.২%-এরও নিচে ছিলো।

    এরপর ২০১২ সালে সৌদি আরবে আবার একই ধরনের একটা ভাইরাস ধরা পরলো প্রায় ২২ জনের মধ্যে। এবারও কালপ্রিট একটি করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসের নাম দেয়া হল মিডল ইস্ট রেসপিরেটরী সিনড্রোম তথা মার্স করোনা ভাইরাস। এটি ছড়িয়ে পড়েছে সম্ভবত উট থেকে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত এটি সৌদিতে ৬৮৮ জনকে আক্রান্ত করেছে। তার মধ্যে প্রায় ২৮২ জন মারা গেছে।
    সেবার বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান IEDCR খুবই দক্ষতার সাথে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফেরত আসা সন্দেহজনক মার্স কেসকে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখায় তা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েনি।

    এবার ২০১৯ সালে ডিসেম্বরের শেষে আবার একটি নতুন করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে এটি চীনের হুবাই প্রদেশের উহান শহরের একটি প্রাণীবাজারে সাপ থেকে ছড়িয়ে পড়েছে। আজকে পর্যন্ত চিনে ৪১ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে চিনের বাইরে কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। সারা পৃথিবীতে ১২/১৪টি দেশে প্রায় ১৩০০টি কেস নিশ্চিত হয়েছে। সম্প্রতি আমাদের নিকটবর্তী ভারতে এগারটি এবং নেপালে একটি কেস পাওয়া গেছে।

    সুতরাং করোনা ভাইরাস আমাদের দেশেও ছড়িয়ে পরতে পারে। তবে আমাদের ভীত না হয়ে সতর্ক হতে হবে। লক্ষ্যনীয়, করোনা ভাইরাস যাদের আক্রান্ত করে তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে সাধারনত মারাত্মক রোগ করতে পারে। কিন্তু, কিভাবে আমরা করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে বাঁচাবো? (বিস্তারিত ডানের ছবিতে)

    করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিচের ব্যবস্থাগুলো নেয়া জরুরী-
    – সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত বিশ সেকেন্ড হাত ধোয়া
    – নিজের চোখ, নাক ও মুখ আধোয়া হাতে না ধরা
    – যারা করোনা ভাইরাস আক্রান্ত তাদের নিকটে না যাওয়া

    যদি আসেপাশে কারও জ্বর, গলাব্যাথা, কাশি বা শ্বাসকষ্ট থাকে তাকে ডাক্তার দেখান এবং
    – বাসায় থাকতে বলুন
    – অন্যদের স্পর্শ এরিয়ে চলতে বলুন
    – কাশির সময় মুখ ও নাক টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখতে বলুন, টিস্যুটি ময়লার ড্রামে ফেলে হাত ধুয়ে ফেলতে বলুন

    এছাড়া যেসব দেশে (বিশেষ করে চীন) করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সেগুলো থেকে কেউ আসার পর যদি ১৪ দিনের মধ্যে জ্বর (১০০ ফারেনহাইট বা তার বেশী), গলাব্যাথা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় দ্রুত হাসপাতালে যোগাযোগ করুন এবং ছবিতে দেয়া IEDCR-এর ফোন নাম্বারে ফোন করে জানান।

    যেসব দেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সন্দেহ করা হচ্ছে বা নিশ্চিত হওয়া গেছে তার নাম ও আজকে পর্যন্ত কেস সংখ্যা নিম্নরুপ-
    ১. চীন – ১৩০০জন
    ২. ফ্রান্স – ৩জন
    ৩. জাপান – ৩জন
    ৪. অস্ট্রেলিয়া – ১জন
    ৫. মালয়েশিয়া – ১জন
    ৬. নেপাল – ১জন
    ৭. সিঙ্গাপুর – ৩জন
    ৮. দক্ষিণ কোরিয়া- ২জন
    ৯. তাইওয়ান – ৩জন
    ১০. থাইল্যান্ড- ২জন
    ১১. ইউএসএ- ২জন
    ১২. ভিয়েতনাম – ২জন
    ১৩. ভারত-১১ জন

    আসুন আমরা সতর্ক হই এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যেন আল্লাহ আমাদের এই এপিডেমিক থেকে রক্ষা করেন এবং সুস্থ রাখেন। …
    লাস্ট আপডেট: ২৫/০১/২০২০, রাত ১০.২৬

  • অ্যান্টিডট-এর মন্তব্য

    তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী পদার্থের এনট্রপি বাড়ে। লোহা ফেলে রাখলে ধীরে ধীরে মরিচা পড়ে ক্ষয় হতে থাকে।  ফেলে রাখলে স্রষ্টায় বিশ্বাসেও মরিচা পড়ে। অযুক্তি, কুযুক্তি এসে ক্ষত সৃষ্টি করে। মরিচা পড়া লোহা ঘষে মেজে পরিষ্কার করতে হয়। সন্দেহযুক্ত ঈমানও ঘষামাজা করলে দৃঢ় হয়। 

    সন্দেহ-সংশয় আত্মাকে অন্ধকারের কড়াল গ্রাসে বন্দি করতে চায়। কিন্তু, যার আত্মা নিভু নিভু হয়েও জ্বলছে তাকে কখনও বিভ্রান্ত করা যায় না। অন্ধকার কখনও আলোকে ঢেকে রাখতে পারে না। বরং, সামান্য প্রদীপের আলোই দূর করতে পারে বিস্তৃত আধার। আর, যখন একসাথে অনেকগুলো প্রদীপ জ্বলে উঠে?

    গতবছরটি ছিলো বিশ্বাসীদের জ্বলে উঠার বছর। তরুণ লেখক আশরাফুল আলম সাকিফ তেমনই এক প্রজ্জ্বলিত অগ্নি।  

    বিষাক্ত পদার্থ যখন শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়ে, অ্যান্টিডোট দিয়ে প্রশমিত করতে হয়। তাই চিকিৎসাবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম নিয়ে এসেছেন বিশ্বাসীদের ধমনীতে ছড়িয়ে পড়া অবিশ্বাসের অ্যান্টিডোট।

    বিবর্তন, মানবভ্রুন সম্পর্কিত কোরআনের ইঙ্গিত, মহামারীর ইসলামী সমাধান ইত্যাদি বৈচিত্রপূর্ণ বিষয়ে লেখক অনেক তথ্যপূর্ণ বিশ্লেষণ লিপিবদ্ধ করেছেন ফাতিমার জবানবন্দিতে। এই অ্যান্টিডোট হোক অসংখ্য অসুস্থ আত্মার সুস্থতার অন্যতম বাহন। এই প্রত্যাশায়…

    মো: আবদুল্লাহ সাঈদ খান
    চিকিৎসক

  • Noble prize given to intelligent design

    Dr. Frances Arnold got the noble for directing evolution (read ‘micro-evolution’) to generate new enzymes. This is a precious example of design in chemistry and what intelligent design can do.

    No natural and random process had produced the new enzymes. It was produced by meticulously planning and directing the process of micro-evolution. She and her colleagues were directing the ‘copying error’ to improve sub-function of an existing enzyme which usually engage in different chemical reaction.

    But, why they had to take a tedious route to invent new enzymes? That is because, we do not yet know how a particular chain and sequence of amino acids would function assuming a particular shape. If we could have gathered all that information at that tiny level we could have produced new enzyme de-novo.


    In fact Dr. Arnold explains precisely that in one of her articles:

    “Unfortunately, our understanding of the link between sequence and function lags well behind our desire for new enzymes. Given that our ability to predict protein sequences–or even just changes to a sequence–that reliably give rise to whole new, finely tuned catalytic activities is rudimentary at best, creating new enzymes capable of improving on current synthetic processes is a pretty tall order. We also dream of going beyond known chemistry to create enzymes that catalyze reactions or make products that are simply not possible with any known method, synthetic or otherwise. Requiring that these new enzymes assemble and function in cells, where they can be made at low cost and incorporated into synthetic metabolic pathways to generate a broader array of products, represents an even greater set of engineering constraints and challenges.(1)”    

    She also writes:

    “Directed evolution achieves these desirable functional outcomes while circumventing our deep ignorance of how sequence encodes them”

    The new function the enzyme achieved was not completely new. Usually they chose the enzymes from the natural world which were doing other important function but also had the desired catalytic capacity in a minimal level. By directing the copying error process Dr. Arnold’s team tried to improvise that desired function. On her own words:


    “We start with existing proteins (sourced from Nature or engineered), introduce mutations, and then screen for the progeny proteins with enhanced activity (or another desirable trait). We use the improved enzymes as parents for the next round of mutation and screening, recombining beneficial mutations as needed and continuing until we reach the target level of performance.(1)”

    I am not speaking of ‘copying error’ out of ignorance. Read her own comments on the issue:

    “Engineering enzymes in the 1980s and 1990s, I learned the hard way that there was no reliable method to predict performance-enhancing mutations. Turning instead to random mutagenesis and screening, I quickly realized that such mutations were easy to find and accumulate with the right evolutionary optimization strategy(1).” I wanted to go deep. But let’s stop it here. Given the circumstances we can conclude that this year the noble prize was given to intelligent design(2,3).

    1.          Arnold FH. Directed Evolution: Bringing New Chemistry to Life. Angew Chemie – Int Ed. 2018;57(16):4143–8.

    2.          Douglas Axe. Nobel Prize in Chemistry for Intelligent Design? | Evolution News [Internet]. [cited 2018 Oct 19]. Available from: https://evolutionnews.org/2018/10/nobel-prize-in-chemistry-for-intelligent-design/

    3.          Michael Egnor. Intelligent Design Wins Another Nobel Prize | Evolution News [Internet]. 2018 [cited 2018 Oct 19]. Available from: https://evolutionnews.org/2018/10/intelligent-design-wins-another-nobel-prize/

  • The Radiance of Generosity

    Let me tell you a story of a beautiful young girl who was loved by many. Her name was Lisa, who lived in a country of many people. From an early age, she was observant of her surroundings. The condition of the needy and poor people has always made her thoughtful of life. This made her realize the importance of kindness and empathy. She came from a well-to-do family and was different from other girls. On her way to school, she would always look out of the window and reflect on her surroundings. Despite many girls her age struggling in their lives, she didn’t have to worry about new clothes or fancy foods.

    She realized the convenience she had in this economically stratified society and decided to start a charity. She gathered donations from her friends, classmates, and teachers to help the poor and needy. Her first priority was those children in school who needed money to buy books, school dresses, or snacks. During festivals, she also gave new dresses to street children.

    Her activities were truly appreciated by all, and many students actively volunteered in her charity. She started doing good for people and set a remarkable example for her peers. Her efforts were recognized, and she was rewarded for her contributions to society. Her parents and relatives were happy and proud of her.

    As time went by, the young girl continued her charity work and became more involved in the lives of the less fortunate. She would visit the local slums and interact with the families there, learning about their struggles and challenges. She saw the lack of basic necessities such as clean water, proper sanitation, and access to education. These observations only fueled her passion for helping those in need.

    With the support of her community, Lisa expanded her charity work and started organizing medical camps in the slums. She arranged for doctors and nurses to provide free medical check-ups and treatment for the residents. She also collaborated with local organizations to provide vocational training for women so that they could earn a livelihood and support their families.

    As her efforts gained momentum, Lisa started receiving invitations to speak at events and conferences. She shared her experiences and inspired others to take action in their communities. Her voice echoed across the country, and people from all walks of life started taking notice of her work.

    But with fame came criticism. Some people accused Lisa of using her charity work for personal gain or for seeking attention. However, the young girl remained steadfast in her mission and continued to serve the needy with the same passion and dedication.

    One day, while visiting a slum, she met a young boy who was sick and malnourished. He had lost his parents to a disease and was living with his grandparents, who were struggling to make ends meet. Lisa took him under her wing and arranged for his medical treatment and education. She would visit him regularly and became like a big sister to him.

    Years passed, and the young girl grew up to be a successful professional. But she never forgot her roots and continued to work for the betterment of society. The young boy she had helped had also grown up to be a successful businessman, and he attributed his success to the kindness and generosity of the young girl who had once saved his life.

    Lisa’s legacy lived on, and her charity work inspired many others to follow in her footsteps. She had shown that a single act of kindness can have a ripple effect and transform the lives of many. Her story is a reminder that we can all make a difference in the world, no matter how small our actions may seem.

    In conclusion, the young girl’s journey teaches us the importance of kindness and empathy. Her observations of the struggles of the less fortunate inspired her to take action and make a difference in their lives. Her passion and dedication to serving others have left a lasting impact on her community and inspired many to follow in her footsteps. Her story is a testament to the fact that anyone can make a difference in the world if they have the will and determination to do so.

    The Observant Boy Who Learned to Appreciate the Beauty of Creation

    Once upon a time, there was a curious and observant boy named Alex. Alex loved to spend his time outside, exploring nature and observing all the beautiful creations around him. He was always amazed by the intricacy and beauty of the natural world, and he never stopped wondering about how everything worked together so perfectly.

    One sunny day, as Alex was walking through a nearby garden, he stumbled upon a breathtakingly beautiful rose. The rose was the most vibrant shade of red that Alex had ever seen, and it had a sweet fragrance that filled the air. Alex was immediately drawn to the flower, and he stopped to take a closer look.

    As he examined the rose, Alex noticed that the petals were perfectly arranged in a spiral pattern, with each one fitting perfectly against the next. He marveled at the way that the flower seemed to be designed so flawlessly, with every detail working together to create something so stunning.

    Alex closed his eyes and took a deep breath, inhaling the sweet scent of the rose. He felt a sense of wonder and gratitude wash over him, as he realized that this beautiful flower was just one small part of the incredible world around him.

    As he opened his eyes, Alex looked up towards the sky and whispered a quiet prayer of thanks to the designer of the rose and all the other amazing creations in the world. He knew that there was no way that everything he saw could have come together so perfectly by chance, and he felt a sense of humble submission to the power that had created it all.

    From that day on, Alex continued to observe and appreciate the beauty of nature around him, knowing that every detail was a small piece of a much larger puzzle. And he always made sure to take the time to stop and smell the roses, knowing that they were a reminder of the incredible power and beauty of the world around him.

  • Brain storm on mind

    #Brainstorms about the mind

    What is creativity?

    What is intelligence?

    What is non-computable or non-algorithmic about intelligence?

    The Turning halting problem has shown us that there is no program, which could decide whether any arbitrary computer program would halt or loop forever.

    Godel’s Incompleteness theorem has shown us that deriving all mathematics from a group of axioms is not possible.

    This means, there’s surely something non-computable about the mind that exists.

    So, what is non-computable about our minds.

    Let us think about the issue.

    We know, whenever we face a complex problem, it is easy to deal with it by breaking it into simpler parts.

    So, when we think, imagine, or get creative about something, what does our mind actually do?

    It processes sensory information from vision, hearing, smelling, tasting, and touch. In the sensory cortices of our brain, we process the electrochemical signals coming from sensory organs and perceive them in our own unique ways. This perception, dubbed ‘qualia’, is subjective and can’t be reached objectively.

    Now, let’s think of our childhood brain as an empty slate with certain programs installed in it on how to process information. From infancy, we are exposed to a lot of information about relationships between different types of sensory information. For example, a child sees its surroundings and learns how to reproduce them. It sees our gestures during our talk, including facial and bodily movements, and the sounds we produce. It then reproduces this information using its motor apparatus. While processing this information, it learns the relationship between different types of information we have ascribed, knowingly or unknowingly, e.g., the relationship between sounds we produce and the hand movements we do, the minute facial muscle movements, and the sound units produced through this process, etc.

    A child while getting acquainted with the ‘letters’ and their corresponding sound units- ‘phonemes’ during learning how to read and write, learns about our ascribed ‘relationship’ between a ‘curved line (e.g., letter ‘p’)’ and the sound (e.g., ‘p’ sound). The child then writes the ‘p’ and uses this information learned from experience.

    It seems like a highly sophisticated computer using neural networks or parallel connections could do the same if trained through all the information in its surrounding environment over years (like a child learns through experience over time).

    However, what is unique about us is that we can produce a completely ‘arbitrary’ relationship between two types of sensory information. For example, you can, just for fun, ascribe the sound ‘A’ to the letter ‘B’, the sound ‘B’ to the letter ‘C’, and write down cryptic sentences using your new symbolic language. However, a computer, running on algorithms, can’t produce a completely arbitray relationship (i.e., ascribe arbitrary meaning between two types of sensory units).

    Interestingly, we can also retrieve any arbitrary relationships by getting enough information about a new cryptic symbolic system.

    When we do abstract thinking we actually manipulate and examine different types of arbitrary relationships between different sensory information and do logical or intuitive deduction.

    If we think about this deeply, we can realize that- “The unique feature of human intellect is the ability to associate two unrelated objects with purpose.”

    I came across this realization when I got a deeper understanding of our neuronal structure through several texts and other books. Interestingly, I got a similar insight from Dale Purves’ textbook ‘Neuroscience’ and pediatric neurosurgeon Michael Egnor’s talks.

    Long ago, realizing this significant feature of the human mind, I put it in my Facebook profile intro. It now seems this understanding is being confirmed day by day.

    Alhamdulillah! Allah is the Greatest.

  • শেষ বিচার

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার অশেষ করুনা যে হিসেবের দিনে সবার বিচার হবে পৃথক ভাবে।

    আমি যদি মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়ে থাকি, আমি জেনে বুঝে ইসলামকে শেখা ও মানার চেষ্টা করেছি কি না? আমাকে তিনি যে বুদ্ধিমত্তা, সময় এবং কর্মব্যস্ততা দিয়েছেন তার সাপেক্ষে আমার যতটুুকু জানার সুযোগ ছিলো তা জেনেছি কি না এবং তার সাপেক্ষে আমার যতটুকু মানার সুযোগ ছিলো মেনেছি কি না?

    একজন রিকশা চালকের জামাতে নামাজ পড়তে না পারার বিচার একজন ব্যাবসায়ীর মত হবে না। একজন ঠেলাগাড়ি চালকের রমজানের রোজা একজন এসিতে বসে থাকা অফিস কর্মকর্তার মত হবে না।

    যে অমুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়েছে সর্বজ্ঞানী আল্লাহ তার সম্ভাব্য সকল ঘটনাক্রম (All possible world) এর সকল শাখাপ্রশাখা সহ জানেন। ফলে তিনি জানেন যে মুসলিম পরিবারে জন্ম নিলে সে কিভাবে জীবন যাপন করত এবং মুসলিম পরিবারে জন্ম নিলে তাকে তার স্বাধীন ইচ্ছের মাধ্যমে কতটুকু পরীক্ষা করা যেত। আবার অমুসলিম পরিবারে জন্ম নিলে তাকে তার স্বাধীন ইচ্ছেশক্তি, বুদ্ধিমত্তা, সময় এবং কর্মব্যস্ততার মধ্যে কতটুকু পরীক্ষা করার সুযোগ আছে তা-ও মহান আল্লাহ জানেন। সুতরাং, আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ তাআলাকে উক্ত ব্যাক্তিতে তার best possible world-এ তৈরী করেছেন। হয়ত পুরো জীবনে তাকে আল্লাহ অনেকবার মুসলিম হয়ে যাবার সুযোগ দিবেন? হয়ত সে আমার-আপনার চেয়েও পরহেজগার মুসলিম হয়ে মৃত্যুবরনের সম্ভাব্য অপশন রাখে।

    আবার, আমার জীবনে হয়ত ইমান রক্ষার এমন পরীক্ষা আসতে পারে যেখানে উত্তীর্ণ না হলে আখিরাত বরবাদ হয়ে যাবে (আল্লাহ ক্ষমা করুন।)।

    আল্লাহ আমাকে আমার পুরো জীবনের কনটেক্সট, বুদ্ধিমত্তা, ও সময়ের আলোকে বিচার করবেন। আপনাকেও আপনার কনটেক্স, বুদ্ধিমত্তা, ও সময়ের আলোকে বিচার করবেন।

    এজন্য কোন ‘সুনির্দিষ্ট’ ব্যক্তির ব্যপারে জাজমেন্টাল না হই। নিজে ইসলাম শিখি, পালন করি এবং মানুষের কাছে দাওয়াত পৌছে দেই যে- ‘আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, এবং মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার প্রেরিত শেষ নবী’। এরপর উক্ত ব্যাক্তির হেদায়াতের ভার আল্লাহর কাছে ছেড়ে দেই এবং দোয়া করতে থাকি।

    আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিন এবং মুসলিম বানিয়ে তার কাছে ডেকে নিন।

  • মেটামরফসিস

    অসুস্থ অবস্থা থেকে সুস্থতার দিকে প্রত্যাগমনের সময় নতুনত্বের অনুভূতি বিরাজ করতে থাকে।

    এই অনুভূতির বর্ণনায় প্রকাশ করা কঠিন।

    তবে, শুয়োপোকা যখন গুটি বেঁধে প্রজাপতিতে রূপান্তরিত হয়, তখন যদি তার কোন অনুভূতি থেকে থাকত তা বোধ হয় এ রকম।

    সূর্য যখন অন্ধকার ভেদে করে নতুন ভোরের আলো নিয়ে আসে, সে সময় প্রকৃতি যদি কিছু বুঝত তা অনেকটাই হত সেই অনুভূতির ন্যায়।

    ঝড়ের পরের নতুন সকালে যে মৃদু হিমেল বাতাস বইতে থাকে তার সাথে হয়ত তুলনা করা যায় একে।

    কিংবা যেন শুষ্ক মাটি থেকে নতুন সবুজ ধানের শীষের সমারোহে বয়ে যাওয়া বাতাসের ঝাপটা।

    অসুস্থতার পর সুস্থতায় ফিরে এলে মনে হয় যেন মহান রব আপনাকে নতুন জীবন দান করলেন। নতুন করে আরেকবার সুযোগ দিলেন তাকে ডাকার, তার দিকে ফিরে আসার।

    মনের ব্যপারটাও কি ঠিক এ রকম?

    বান্দাহ প্রকৃত তাওবা করলে আল্লাহ হয়ত তার মনকে সকল বিক্ষিপ্ত অবস্থা থেকে মৌলিক ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় ফিরিয়ে দেন এবং সুযোগ দেন ভালর দিকে নিজেকে সঞ্চালিত করার। মৃত মন যেন নতুন জীবন পায়।

    কখনও কি দেখেছেন, রাতের শেষ প্রহরে, সিজদায় মাথাবনত করে, দু চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে, নিজের সকল অহংকারকে ধুলায় লুটিয়ে, বিনয়ের সাথে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর কি অনুভূতি হয়?

  • করোনা ভাইরাসের শিক্ষা

    করোনা ভাইরাসের অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে নাকে ঘ্রাণ শক্তি লোপ এবং জিহবার স্বাদের অনুভূতি লোপ। এ অবস্থায় আপনি যা-ই খাবেন মনে হবে যেন একই জিনিস খাচ্ছেন। আপনি চোখ বন্ধ করলে বিষয়টি আরও বেশী উপলব্ধি করতে পারবেন।তাহলে ভেবে দেখুন খাবারের যে স্বাদ আমরা পাই বা যে গন্ধ আমরা পাই তা মূলত নির্ভর করছে আমাদের উক্ত ইন্দ্রিয়ের সক্রীয় থাকার উপর। আমাদের নাক বা জিহবা থেকে ঘ্রাণ বা স্বাদের তথ্য নিউরনের মাধ্যমে আমাদের ব্রেইনের সেনসরী কর্টেক্স নামক একটি জায়গায় পৌছে। উক্ত নিউরনের যে কোন জায়গায় সমস্যা হলে ইন্দ্রীয়লব্ধ তথ্য আমাদের সেন্সরী কর্টেক্সে পৌছায় না বিধায় আমরা তথ্য পাই না।সুতরাং, আমরা যে কোন ইন্দ্রিয়লব্ধ তথ্য উপলব্ধি করি মূলত সেরিব্রাল কর্টেক্স (ব্রেইন)-এর সেনসরী এরিয়াতে।

    আপনাদের মাথায় হয়ত এই প্রশ্ন এসে থাকবে যে, তাহলে কি সেনসরী কর্টেক্স আঘাত প্রাপ্ত হলে সেনসেশন টোটালী লস হয়? মজার বিষয় হল, সেনসেশন টেম্পোরারী লস হয়। নিউরোপ্লাস্টিসিটি নামক একটি ফেনোমেনা আছে। যার মাধ্যমে ব্রেইনের যে অংশ বেঁচে আছে সেই অংশ অনেক সময় আঘাত প্রাপ্ত অংশের কাজ গ্রহন করে। ফলে উক্ত ব্যাক্তি সংশ্লিষ্ট সেন্স ফিরে পায়। যাদের জন্মের পর থেকে বিভিন্ন কারণে ব্রেইনের কটিকাল অংশ ছোট বা সরু তাদের উপর গবেষণায় দেখা গেছে যে তাদের ইন্দ্রিয়লব্ধ তথ্য পেতে কোন সমস্যা হয় না। স্বাভাবিক গঠনের অন্যান্য ব্রেইনের মতই তারা উপলব্ধি করে। অর্থাৎ, আপনার উপলব্ধি আপনার ব্রেইনের সাইজের উপর নির্ভর করে না।তাহলে কে উপলব্ধি করে?এর উত্তর দার্শনিক অবস্থানের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন-যারা কট্টর বস্তুবাদী, তাদের মতে আমাদের ব্রেইনই উপলব্ধি করে।

    ‘মাইন্ড’ হচ্ছে আমাদের ভাব প্রকাশের সুবিদার্থে ব্যবহৃত একটি পরিভাষা মাত্র।যারা এপিফেনোমেনালিস্ট, তাদের মতে আমাদের মাইন্ড নামক একটি এনটিটি আছে যা শুধু উপলব্ধি করে। কিন্তু, ব্রেইনের উপর তার কোন ইফেক্ট নেই।কার্তেসিয়ান ডুয়েলিস্টদের মতে আমাদের মাইন্ড একটি ইনডিপেন্ডেন্ট এনটিটি যা উপলব্ধি করে, ব্রেইনের উপর একশন রাখতে পারে এবং ব্রেইন থেকে ডিটাচেবল।থমিস্টিক ডুয়েলিস্টদের মতে আমাদের মাইন্ড একটি কনজয়েন্ট এনটিটি যা উপলব্ধি করে, ব্রেইনের উপর একশন রাখতে পারে, কিন্তু ব্রেইন থেকে ডিটাচেবল না।

    হার্ড প্রবলেম অব কনসাসনেস, ননলোকাল কনসাসনেসস রিসার্চ, নোয়েটিক রিসার্চ, স্পিরিচুয়্যালী এনলাইটেনডদের এক্সপেরিয়েন্স, এবং ফিলোসফি অব রিলিজিওন প্রভৃতি সম্মিলিতভাবে ডুয়েলিজম-এর দিকে ধাবিত করে বলে আমি মনে করি।

    করোনা ভাইরাস আমাদের সুস্থতার নিয়ামত বোঝার পাশাপাশি আমাদের অস্তিত্বের বাস্তবতা এবং ক্ষনস্থায়ীত্ব সম্পর্কে যেন নিয়মিত শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। অথচ, আমরা কি এখনও আল্লাহর দিকে ফিরে এসেছি?

  • শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল, চাঁদের অবস্থান এবং হাতের ইশারায় চাঁদের দুই ভাগ হওয়া

    শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল বক্সের ভিতর বেঁচে আছে না কি রেডিয়েশনের কারণে মরে গেছে তা ‘না দেখার’ আগ পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না। কারণ, এলিমেন্টারী পার্টিকেলগুলো অবজার্ভ করার আগ পর্যন্ত কোয়ান্টাম সুপারপজিশনে থাকে। যখন অবজার্ভ করা হয় তখনই কেবল তাদের সুপারপজিশনের ডিকোহারেন্স হয়।

    অর্থাৎ, তাকানোর আগ পর্যন্ত বিড়াল হয়ত একই সাথে মৃত এবং জীবিত অবস্থায় আছে।

    ঠিক একই ভাবে আকাশে যখন চাঁদ ওঠে, চাঁদে তাকানোর আগ পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত নই যে চাঁদ আকাশের ওই অবস্থানেই আছে কি না। যদি ধরে নেই, আমি না তাকানো পর্যন্ত চাঁদ কোয়ান্টাম সুপারপজিশনে থাকে, তার অর্থ হলো আমি না তাকানো পর্যন্ত চাঁদ একক, দ্বিখন্তিত, চূর্ণবিচূর্ণ যে কোন অবস্থায় থাকতে পারে।

    কিন্তু, আমি তাকানোর পড়ে চাঁদ কেন সব সময় একটাই দেখায়? এইখানে এসে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ইন্টারপ্রিটেশনের অসংখ্য বিভিন্নতা তৈরী হয়েছে। এই সকল ইন্টারপ্রিটেশন বিভিন্ন দিক থেকে করা হয়েছে। প্রতিটি ইন্টারপ্রিটেশন যে আবার মিউচুয়্যালী এক্সক্লুসিভ তাও না। এর মধ্যে বোর ও হাইজেনবার্গের কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রিটেশনকে ধরা হয় ‘স্ট্যান্ডার্ড’ ইন্টারপ্রিটেশন।

    একটি ইন্টারেস্টিং ইন্টারপ্রিটেশন হল ভন নিউম্যান ইন্টারপ্রিটেশন। এটা অনুযায়ী ‘কনসাসনেস’ কোয়ান্টাম কোল্যাপস–এ ভূমিকা রাখে। এমনকি, জন আর্চিবাল্ড হিলার-এর মতে ইউনিভার্স-এর এক্সিসটেন্স-এর পেছনে কনসাসনেস-এর ভূমিকা আছে।

    মোদ্দাকথা, কোয়ান্টাম ডাবল-স্লিট এক্সপেরিমেন্ট বারবার দেখিয়েছে যে কনাগুলো দেখার আগ পর্যন্ত কোয়ান্টাম সুপারপজিশনে থাকে। এমনকি কয়েকদিন আগে ২০০০ পরমানুর অনুতেও এটা পরীক্ষা করে পাওয়া গেছে।

    এখানে যদি আমরা ইমাম গাজ্জালির ওকেশনালিজম (পূর্ণ রূপে বা আংশিক ভাবেও) নিয়ে আসি তাহলে এভাবে বলা যায় যে মহাবিশ্বের সকল ঘটনা একটা হবার সম্ভাব্যতার মধ্যে থাকে এবং যেগুলো ঘটে সম্পূর্ণ আল্লাহ আজ্জা ওয়া জল্লার ইচ্ছেতেই ঘটে। একটা ইভেন্ট-এর সাথে আরেকটা ইভেন্ট-এর ডাইরেক্ত কজাল রিলেশনশিপ নাই, যা আছে তা হলো কোরিলেশনাল।

    সহজ বাংলায় আল্লাহ তাআলা আমাদের যেভাবে দেখান আমরা সেভাবেই দেখি। সুতরাং, আল্লাহ তাআলা যদি এক মূহুর্তের জন্য নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সহ উপস্থিত সাহাবাদের চাঁদ দ্বিখন্ডিত করে দেখিয়ে থাকেন তা বর্তমান বিজ্ঞানের গবেষণালব্ধ জ্ঞান অনুসারেও কনক্লুসিভলি ভুল ভাবার কোন কারণ নাই।

  • মেমোরী, প্রোডিজি এবং ইচ্ছাশক্তি

    মেমোরী তথা স্মরণশক্তি দু ধরনের। ডিক্ল্যারেটিভ ও ননডিক্ল্যারিটিভ। প্রথমটি হল সে ধরনের মেমোরী যা আমরা কথার মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারি। যেমন: কোন কিছুর নাম, সংখ্যা, কোন ঘটনার স্মৃতি ইত্যাদি।  দ্বিতীয়টি হল সে ধরনের যেগুলো কথার মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় না। যেমন: যে কোন ধরনের কাজ- সাইকেল চালানো, ড্রাইভিং, কিবোর্ড টেপা ইত্যাদি। দ্বিতীয় ধরনের মেমোরী আমাদের ‘সাবকনসাস’-এ প্রোথিত হয়। এমনকি এই ধরনের মেমোরী স্মরণ করতে গিয়ে সেটা সম্পর্কে ‘কনসাস’ হতে গেলে কাজটির ব্যাঘাত ঘটে। যেমন: একজন টেনিস খেলোয়ার বলে ব্যাট লাগাতে গেলে তার মন ‘সাবকনসাসলি’ মাপাঝোকা করে দেয়, এ সময় প্রতিপক্ষের মারা বলের দিকে মোনযোগ দিতে গেলে শট মিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।।

    ডিক্ল্যারেটিভ ও ননডিক্ল্যারেটিভ দুধরনের মেমোরীই বৃদ্ধি করা যায়, পুন:পুন: চর্চার মাধ্যমে। তবে মনে রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল যা শিখছি তার প্রতি গভীর আগ্রহ।  

    আলেকজান্ডার অ্যাটকিন তেরো বছর বয়সে মনে মনে অঙ্ক কষার বিষয়টিতে গভীর আগ্রহ অনুভব করেন। তিনি ‘পাই’ এর মান দশমিকের পড়ে ১০০০ ঘর পর্যন্তু মুখস্ত করেছিলেন। পরবর্তীতে এই ব্যাক্তি এডিনবার্গ-এ ম্যাথমেটিক্সের প্রফেসর হয়েছিলেন। তবে বর্তমানে পাইয়ের মান দশমিকের পড়ে মনে রাখতে পারার ‘ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’ টি গড়েছেন চিনের চাউ লু। এই ব্যাক্তি পাই এর- মান দশমিকের পর ৬৭৮৯০ ঘর পর্যন্ত বলতে পেড়েছেন, মুখস্ত! 

    ওলফগ্যাঙ এমাদেওস মোজার্ট চার বছর বয়সে পিয়ানো শেখেন এবং আট বছর বয়সে তার প্রথম সিমফোনী রচনা করেন। তাকে অন্যতম প্রধান মিউজিক প্রোডিজি বিবেচনা করা হয়। লাডউইগ ভ্যান বেথোভেন তার শেষ জীবনে বধির হয়ে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি কিছু সোনাটা ও কোয়ার্ট্রেট রচনা করেন। সমসাময়িক মিউজিসিয়ানদের অবোধ্য হওয়ায় সমালোচিত হলেও পরবর্তীতে এই মিউজিকগুলোকেই তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে বিবেচিত হয়।

    পাবলো পিকাসোকে পূর্ণাঙ্গ আর্টিস্ট হিসেবে বিবেচনা করা হত যখন তার বয়স বারো। লিউনার্দো দ্যা ভিঞ্চি ছিলেন একজন পলিম্যাথ(অর্থাৎ বিভিন্ন বিষয়ের বিজ্ঞানী)।  বিশ বছর বয়সে তিনি আর্টিস্টদের গাইড, ‘গাইড অব সেন্টলুকের’ মাস্টার নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    দাবার ওয়ার্ল্ড রেটিং এ বর্তমানে এক নাম্বার খেলোয়ার ম্যাগনাস কার্লসেন। মাত্র বাইশ বছর বয়সে গত জানয়ারী মাসে সে চেজ লিজেন্ড গ্যারী ক্যাসপারভের FIDE Rating 2851 কে অতিক্রম করে এবং এখন পর্যন্ত তার সর্বোচ্চ রেটিং 2872। তেরো বছর বয়সে এই ‘মোজার্ট অব চেজ’ একটি খেলায় ক্যাসপারভকে হারাতেও বসেছিল।

    শ্রিনিভাস রামানুজনের বয়স যখন তেরো তিনি নাম্বার থিওরী এবং বার্ণোলী নাম্বার এ নিজস্ব থিওরী দাড়া করান। ক্লডে শ্যানন যখন দেখান যে বুলিয়ান লজিক যে কোন লজিকাল, নিউমেরিকাল রিলেশনশিপ-এ ব্যবহার করা যায় তখন তার বয়স ছিল একুশ। জেমস ওয়াটসন ডিএনএ’র গঠন আবিস্কার করছিলেন তেইশ বছর বয়সে। এনরিকো ফার্মি একটি ভাইব্রেটিং রডের পার্সিয়াল ডিফারেনশিয়াল ইকুয়েশন সমাধান করতে ফরিয়ার এনালাইসিস ব্যবহার করেন সতের বছর বয়সে। মার্ক জুকারবার্গ স্কুল লাইফে গেমস প্রোগ্রাম করে দিতেন আর তার বন্ধুরা সেই গেমস খেলত। 

    কম বয়সে স্কিল্ড এডাল্টদের মত দক্ষতা প্রদর্শন করলে তাদের প্রোডিজি বলা হয়। উপরে যাদের উদাহরণ দেয়া হল তাদের কেউ চাইল্ড প্রোডিজি, কেউ এডাল্ট। তবে সবার ক্ষেত্রে একটা সাধারণ ব্যাপার হল আগ্রহ, প্রচেষ্টা এবং সবার উপরে অবশ্যই আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা।

    আগ্রহ ও প্রচেষ্টার বাইরেও আল্লাহর রহমত থাকা জরুরী। আর এ কারনেই একটি বিস্ময়কর উদাহরণ হল মুসলিম বিশ্বের হাজার হাজার হাফেজী মাদ্রাসার হাজার হাজার বালক বালিকা। ৪ থেকে ১২ বছর বয়সী কোরআনের অসংখ্য হাফেজ আছে সাড়া পৃথিবীতে। কোন প্রকার অর্থ না বুঝে পুরো কোরআন মুখস্ত করতে পারাটা আল্লাহর অশেষ রহমতের একটি উদাহরণ মাত্র। কোরআনের বিস্ময়কর ভাষাশৈলী, ছন্দবদ্ধতা ও সাহিত্যপ্রকরণ হল একে মনে প্রোথিত করতে পারার মূল কারণ।  

    অন্যদিকে, বেনজামিন লিবেট তার কনসাসনেস সম্পর্কিত এক্সপেরিমেন্টে দেখিয়েছেন যে মানুষ যখন কোন কিছু অনুভব করে সেটা কনসাসলি অনুভব করার ০.৫ সেকেন্ড আগেই তার অনুভব সম্পর্কিত নির্দিষ্ট ব্রেইন এরিয়াতে ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেশন পৌছে যায়। আবার যখন সে কোন কিছু করতে ইচ্ছে করে যেমন: হাত আগানো, তখন তার ব্রেইনের ‘মোটর’ এরিয়াতে হাত আগানোর কনসাস ফিলিং (অনুভব) হওয়ার ০.৫ সেকেণ্ড আগেই ইলেকট্রিক্যাল এক্টিভিটি শুরু হয়ে যায়। তবে মানুষ সর্বচ্চো সেই এক্টিভিটিকে একটি ভেটো দিয়ে থামিয়ে দিতে পারে। এটাকি তাহলে এক্সপ্লেইন করে, মানুষের প্রচেষ্টায় আল্লাহর সাহায্য কিভাবে আসে এবং কেন মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি নির্দিষ্ট মাত্রায় আবদ্ধ?  

    Bibliography:

    1. Neuroscience; D. Purves et el.

    2. Mind Time: Temporal factors in consciousness; Benjamin Libet     

    3. The 100: A Ranking Of The Most Influential Persons In History; Michael H. Hart

    4. en.wikipedia.org/wiki/List_of_child_prodigies

    5. cracked.com/article_16266_8-child-prodigies-so-amazing-theyll-ruin-your-day_p2.html

    6. pi-world-ranking-list.com/lists/details/luchao.html

    7. en.wikipedia.org/wiki/Ludwig_van_Beethoven

    8. en.wikipedia.org/wiki/Mark_Zuckerberg

    9. en.wikipedia.org/wiki/Wolfgang_Amadeus_Mozart

    10. en.wikipedia.org/wiki/Da_vinci

    11. en.wikipedia.org/wiki/Magnus_Carlsen

    12. en.wikipedia.org/wiki/James_Watson

    13. en.wikipedia.org/wiki/Claude_Shannon