Category: কবিতা ও ছড়া

  • গড়েছে ওরা মিথ্যাচারের বাদশাহি

    প্রিয় কাশ্মীর,

    গড়েছে ওরা মিথ্যাচারের বাদশাহি,

    জনগন আজ গোলাম ওদের ‍শক্তিহীন,

    ওদের কথায় চললে তোমার নিত্য ঈদ।

    আযাদী তোমার আত্মত্যাগের রক্তে আঁকা

    এটাই সত্য শিক্ষা ইতিহাসের কাছে।      

  • আগের মত নইত এখন

    আগের মত নইত এখন

    Change হয়েছি বেশ

    ভুলগুলো সব শুধরে নিয়ে

    Mind হয়েছে Fresh.

    এখনতো আর আগের মত

    নইকো আমি খোকা,

    মন ভোলানো বাত্‌ শুনে হা:

    হইনা এখন বোকা।

    ঘরের ভিতর ঘাপটি মেরে

    এখন কি আর থাকি?

    মনের ভিতর আধার আলো

    রঙের মাখামাখি।

    মাছটি ভাজা উল্টে খেতে

    এখনতো বেশ জানি,

    সবখানেতে ধোকাবাজি

    এ কথাটাও মানি।

    মিথ্যা বলার আজব রীতি

    এখনতো বেশ চলে,

    জনে জনে মিথ্যা কথা

    তাইতো সবাই বলে।

    চাপাবাজি, ধাপ্পাবাজি

    দাবার চালাচালি,

    বাইরে দিয়ে সবাই বড়

    ভিতরটা তাই খালি।

    এসব দেখে এখন আমি

    শিখছি অনেক কিছু,

    বুঝছি কেন সব জনে হায়

    নিচ্ছে টাকার পিছু।

    এখন বুঝি কম বিদ্যা

    পড়ছে কেন ভারী,

    তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে কেন

    হচ্ছে মারামারি।

    সসতা হাসি আনন্দ কেন্‌

    এ যুগে বেশ চলে,

    ভালোবাসা নিয়ে কেনো

    তরুণরা সব খেলে।

    চিন্তা ছেড়ে এখন সবাই

    ভোগ বিলাসে বাধা,

    গাড়ি বাড়ি টাকা কড়ি

    এ কি গোলক ধাধা?

    সকল কিছু বুঝে শুনে

    ঠিক করেছি তাই,

    ভুবনটাকে নতুন করে

    গড়তে হবে ভাই।

    কে আছো ভাই আমার সাথে,

    কে হলে একমত?

    দাও বাড়িয়ে হাতগুলো সব,

    আজকে নি শপথ।

  • উচ্ছ্বাস

    কালের পরিশ্রান্ত পরিক্রমায়

    পরাজিত সংকীর্ণ চিন্তাধারার

    চিত্তাকর্ষক চরিত্রগুলোর বিলুপ্তি হোক।

    আর, নবজাগরনের নবদ্যুতি প্রদিপ্ত করুক

    প্রতিটি মন; মোহিত মনুষ্যে বহিয়া যাক

    তারুণ্যের প্রাণসিক্ত দীপ্র উচ্ছ্বাস।

    শানিত হোক- মেধার অতলান্ত পরিসর,

    বিশ্ব চরাচর, অজস্র কল্যাণের স্রোতধারা-

    বহাইয়া দিক,

    ধ্বনিত হোক গগন বিদারী মুক্তির সম্ভাস।

    সৃষ্টি, স্রষ্টার শ্বাশত নিদর্শন-

    আর সত্য সহকারে, করুক আত্মপ্রকাশ;

    বিজ্ঞান, বিস্ময়কর শৃংখলার অভিজ্ঞানে,

    হোক বিপ্লব; জন্ম নিক আজন্ম বিশ্বাস!

  • দূর্ণীতিতে প্রথম হওয়াই হোক আমাদের Goal

    ওহে, জোড়ছে বাজা ঢোল,

    দেখ্‌ দূর্ণীতিবাজ, ঘুষখোরেদের মুখছে পড়ে লোল।

    চক্ষু খুলি যখন তখন পাত্তি ওরা দেখে,

    আর Party ভোজে দৌড়ে বেড়ায় খানদানী রঙ মেখে।

    পকেট মারা বিলাস ওদের ভন্ডামী ধর্ম্ম,

    দেখ্‌ মিথ্যাবাদীর সাধু সাজার চলছে কেমন show

    বনের রাজার টাকার বালিশ বনে তাহার বাস,

    তার- টাকার গাছে হাত দিলে তোর হইবে সর্বনাশ।

    কেউ বাগানবাড়ী বানায় বড় হরিণ পুশা সখ,

    আর পাথর পেটে বাধল যারা কে দেবে তার হক?

    কেউ সুইস ব্যাংকে ভান্ডা’ খুলে Fund-Uv করে বড়,

    আর বস্ত্রাভাবে শীতের টোকাই হচ্ছে জড়সর।

    দেশের কোথাও মঙ্গা চলে কোথাও বা সন্ত্রাস,

    ওদের পেটে কোর্মা পোলাউ, গরীব দুখীর গ্রাস;

    শোন এরাই দেশের নেত্রী নেতা এরাই বিজ্ঞজন

    আর পাতালতলের মাফিয়াদের এরাই হল ডন।

    এদের হাতেই চলছে এদেশ, মুখোশ পড়া সব,

    বিশ্বব্যাপী এমন মানুষ, পাওয়া যে দূর্লভ।

    তাই জোড়ছে বাজা ঢোল

    দূর্ণীতিতে প্রথম হওয়াই হোক আমাদের Goal

    শান্তি সুখের গপ্প করা এবার তোরা ভোল।

    ওহে! জোড়ছে বাজা ঢোল।

  • চিন্তা

    বাড়ীর পাশের সড়ক ধরে চলছি সেদিন রাতে,

    হঠাৎ দেখি পূর্ণিমা চাঁদ চলছে আমার সাথে।

    পথের ওপর প্রতিচ্ছায়া করছিল সব খেলা,

    বাঁশের ঝাড়ের ধূসর পাতা ধূসর সুখের মেলা।

    খেক শিয়াল এক্‌ জানান দিল রাত্রি গভীর বড়,

    নিরব সবাই চতুর্দিকে নিদ্রা গভীরতর।

    ঝিঁঝির ডাকে নিরবতার রূপের পেলাম দেখা,

    আধার রাতের নিরব পথিক চলছি আমি একা।

    চলছি যখন ভাবছি তখন ভাবছি অনেক কিছু,

    নানান রকম চিন্তাগুলো নিচ্ছিল সব পিছু।

    জমাট বাধা চিন্তাগুলো কষ্ট হয়ে এসে,

    নয়নকোণে বিন্দু সেজে রিক্ত হয়ে শেষে,

    প্রশ্নবানের অগ্নিদাহ নির্বাপিত করে,

    মুক্ত হয়ে- তপ্ত হৃদয় সিক্ত হয়ে ঝরে।

    বন্দী আমি নিজের ভিতর, কষ্ট মাখা ক্লান্তি,

    কোন সে পথে মুক্ত হব দূর করে সব ভ্রান্তি?

    হাসছে হাসি, অবিশ্বাসী, সর্বনাশী চিন্তা,

    যুক্তি নানা দিচ্ছে হানা, যৌক্তিকতা-হীন তা।

    তাইতো এখন মুক্ত করে তীক্ষ্ণ করে দৃষ্টি,

    খুঁজছি ফিরে যুক্তি ভীরে স্রষ্টা ও তার সৃষ্টি।

    চাঁদটা কেন অমন মধুর মিষ্টি আলো দিচ্ছে?

    রাতটা কেন নিরব হয়ে ক্লান্তি মুছে নিচ্ছে?

    তারাগুলো এমন কেন মিটিমিটি জ্বলছে?

    কক্ষপথে থাকছে কেন নিয়ম মেনে চলছে?

    গাছগুলো কেন স্বার্থবিহীন? সুবা’স কেন দেয় সে?

    ফুলে ফলে সবুজ পাতায় রঙিন কেন হয় সে?

    জমিন কেন উর্বরা হয়? কেন সে দেয় শস্য?

    কোন্ সে ঋনে বাঁধা সে যে? কোন্ খানে রহস্য?

    মানুষ কেন ক্ষুদার্থ হয় তৃষ্ণা কেন পায় তার?

    কে সে দিল এমন বিধান ভাবছি ফিরে বার বার।

    এই তো তাকে পাচ্ছি খুজে সকল কিছুর স্রষ্টা,

    সৃষ্টিতে তার জ্ঞানের প্রকাশ তিনিই সর্বদ্রষ্টা।

    কে কাপুরুষ? সত্যকে যে বুঝতে পেরে নির্ভীক?

    মুক্তধারার সীমাবদ্ধ চিন্তাশীলে ধিক্‌ ধিক্‌ ।

    তোমরা সবে হা হুতাশ কর চিন্তাশীলের দল ঐ,

    মহাবিশ্বের বিধানদাতার বিধান থাকবে নিশ্চয়ই।

    তাঁর নিকটেই অবনত হই দেখেছি যে তাঁর সৃষ্টি,

    তাঁর মহিমায় বিস্মিত আমি প্রশান্ত মন-দৃষ্টি।

  • ভাল আছি

    ভালো আছি,

    যখন রাস্তায় জুতো পড়ে বেরোলে দেখি একজন আমারই মত মানুষ

    খালি পায়ে হাটছে…

    তখন বুঝতে পারি…

    ভালো আছি।

    ভালো আছি,

    যখন ধানমন্ডি এক নাম্বার রোডে দেখি আমারই মত একজন মানুষ

    শুধুই অস্থি:সার মজ্জ্বা…

    তখন বুঝতে পারি…

    ভালো আছি।

    ভালো আছি

    যখন ফার্মগেট ফ্লাইওভারে উঠতে গিয়ে দেখি আমারই মত মানুষ

    গোদরোগ; হাত পেতে আছে…

    তখন বুঝতে পারি…

    ভালো আছি।

    ভালো আছি

    যখন  দাড়িপাকা একজন আমারই মত মানুষকে দেখি

    রিকশা চালাচ্ছে….

    তখন বুঝতে পারি…

    ভালো আছি।

    ভালো আছি,

    যখন দেখি মা তার শিশুটিকে কাছে রেখে শুয়ে আছে

    ফুটপাথে….

    তখন বুঝতে পারি…

    ভালো আছি।

    ভালো আছি,

    যখন দেখি ক্ষুধার্ত একটি শিশু…

    আমাদের মতই রক্তমাংসের মানুষ..

    ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে উচ্ছিষ্ট খাচ্ছে…

    তখন….

    ……..

    ……..

    চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না…

    নিজের অস্তিত্বের উপর রাগ হয়

    কাউকে হাসতে দেখলে গা জ্বালা করে

    রাস্তার গাড়ি গুলো দেখলে রক্ত হয়ে গরম হয়ে উঠে

    ক্ষমতাসীন লোভী অমানুষগুলোকে ধিক্কার জানাই

    পৃথিবীকে নতুন করে গড়ার স্বপ্ন দেখি

    দারিদ্রতামুক্ত আদর্শ সমাজ গড়ার শপথ নেই

    আর বুঝতে পারি..

    আমার ভালো থাকার একটা উদ্দেশ্য আছে।

  • লক্ষ্যহীন বর্তমান

    পথে ঘাটে মাঠে বাজারে ও হাটে,

    দেখেছি অনেক কিছু,

    দূর্বল যারা মার খায় তারা

    আজও পরে থাকে পিছু;

    ধন আছে যার আরও ধন চায়,

    যদি বা মঙ্গা চলে,

    বুবুক্ষ প্রাণ কঙ্কাল দেহ-

    চলে যায়- পদে দলে।

    নি:স্প্রাণ দেহ নিশ্চুপ থেকে

    সয়ে যায় সব ব্যাথা,

    বুদ্ধি বেচা ও’ বুদ্ধি ওয়ালারা

    বলে না তাদের কথা।

    সব মুখে আজ তালা লেগে আছে

    সব হাতে বাধা রশি

    সব চোখ বাধা লোভের নেশাতে

    চায় সবে বেশি বেশি।

    আজ পাই নাকো কবি নজরুল

    ‘বিদ্রোহী’ ‘রণভেরী’

    কাফন পড়ে যে শুয়ে গেছে দেখ,

    ফররূখ ‘পাঞ্জেরী’।

    রক্ত হয়না তপ্ত আজকে,

    অন্যায় পাপ দেখে,

    তারূণ্য প্রাণ ঝিম ধরে আছে

    নারী-প্রেম-রূপ চেখে।

    বিশৃংখলা হতাশার মাঝে

    সমাজ রয়েছে ডুবে,

    এরই মাঝে বেঁচে মরছে মানুষ

    লক্ষ্যহীন যে সবে।

    লক্ষ্যহীন এ ভবে।

  • চির সবুজ স্বাধীনতা

    (তার কচি পাপড়ি গুলো আজ আরও লাল,

    গাঢ় লাল হয়ে ঝুলে থাকে বেড়িতে…)

    কলিটি তখনও ফুল হয়ে ওঠেনি,

    বললে, যতন করে রেখে দেবে।
    আমিও বন্ধু ভেবে তোমায়,
    সরল বিশ্বাসে, রাখতে দিলাম কলিটি
    ক’টি মাস!
    তখনিই প্রথম করলে গ্রাস-
    গাছটিই কেড়ে নিলে,
    সেই থেকে শুরু।
    তোমার রক্তচোষা রুপ,
    আমার শিরাগুলো চুষে খায়, আজও,
    চারপাশে মোর হিংস্র বেড়ি পড়িয়ে
    আমার ফুল কেড়ে
    আমার ফল খেয়ে
    তুমি উল্লাস কর?
    যে কলিটি তখনও ফুল হয়ে ওঠেনি,
    যে গোলাপটি তখনও লাল হয়ে ফুটেনি,
    তার কচি পাপড়ি গুলো আজ আরও লাল,
    গাঢ় লাল হয়ে ঝুলে থাকে বেড়িতে…
    ভেবেছ? তুমি শীত হবে?
    সাত কোটি পাতা কেড়ে নেবে?
    কিন্তু বন্ধু, যেওনা ভুলে
    শীত শেষ, বসন্ত এল বলে
    নিয়ে নতুন প্রাণের বারতা ।
    আমার শিকড়, তোমার শিকল গলে বেরিয়ে
    আমার কচি পাতা, প্রশ্বাসে টেনে নিয়ে তোমার প্রাণ
    নি:শ্বাসে দেবে-
    স্থির, প্রশান্ত, চির সবুজ স্বাধীনতা।

  • আমার দুখিনী মা

    সেদিন বিকেলে দেখেছিনু নীলে

    পাখিদের ঘরে ফেরা

    তুমি পাশে ছিলে দুজনায় মিলে

    পেয়েছি স্বপ্নে ঘেরা

    অনুভুতি এক রাশ,

    তুমি নেই পাশে শূন্যতা এসে

    আজ সবই ইতিহাস।

    ভেবেছ রতন করেছ যতন

    দিবা নিশি সারাবেলা,

    করেছ স্মরণ মম আমরণ

    যায় কি স্মৃতি সে ভোলা?

    অন্তরে করে বাস

    কেন চলে গেলে মোরে একা ফেলে

    সব সুখ করে গ্রাস?

    দু:খ পাওনি- যদি বা খাওনি

    এক দিন এক রাত,

    বুঝতে দাওনি সজল চাওনি

    একলা সয়ে আঘাত

    নিরবে ফেলেছ শ্বাস,

    সেই কথা স্মরে কাঁদি প্রাণ ভরে

    কেটে যায় বার মাস।

    যদি দেখি ফিরে, অগাধ তিমিরে

    নিয়ে সব দিয়ে লাথি

    কত ব্যাথা দিনু কত কি চাহিনু

    তবু মম করে সাথী

    আপন করেছ বুকে।

    সব্ ব্যথা ভুলে, নিলে কোলে তুলে

    জানি না কোন সে সুখে?

    আজ তব পাশে তোমার সকাশে

    বসে রইলাম আমি,

    আজ তব গোরে কাঁদবো অঝোরে

    “হেরী অন্তর্যামী!

    ক্ষমা করো মম মা’কে।

    তব কৃপা দিয়ে জান্নাতে নিয়ে

    চির সুখ দাও তাকে।”

    “আজি যদি না-ই সংবাদ পাই

    ফেরদৌস পেল মা,

    গোরে পড়ে রব, কোথা নাহি যাব

    আর কিছু চাই না!

    সে যে আমার দুখিনী মা”!!

  • সময়ের তুমি বৃত্ত হও

    তুমি হও গ্রীষ্ম; তীব্র গরম ভর দুপুর
    নদী যেন পাশে বটতলে বসে গাইছে রাখাল বাধছে সুর।

    তুমি হও বর্ষা; হিমেল বাতাস ঘুম ভুবন
    কবি যেন বসে বাতায়ন পাশে ঘরে পড়ে দেহ উধাও মন।

    তুমি হও শরৎ; স্বচ্ছ আকাশ শুভ্র মেঘ
    যেন কাশ বনে বন্ধু দুজনে লুকোচুরি খেলে নিরুদ্বেগ।

    তুমি হেমন্ত; কৃষকের হাসি সোনালী ধান
    যেন কৃষাণীর নয়নের নীর অবুঝের কোলে সবুজ প্রাণ!

    তুমি হও শীত; ভোরের শিশির খেজুর’ রস
    মায়ের হাতের ভাপা পিঠা যেন চিরায়ত সুখ মন্ হরষ্।

    তুমি বসন্ত; জীর্ণ ধরার নবীন রূপ
    যেন বাগানের নতুন ফুল গাইছে কোকিল শুনছি চুপ।

    তুমি বিকেল; সোনালী আলো লাল আফতাব
    শ্রান্ত দিনের অবসান যেন ক্লান্ত জেলের শান্ত নাব।

    তুমি হও ভোর; ফযরের আযান পাখির ডাক
    সতেজ সমীর তরুণ অরুণে নিশিথ রজনী দূর পালাক।

    তুমি মূহুর্ত হও আমার; প্রতিটি ক্ষণ প্রতি পলক
    সময়ের তুমি বৃত্ত- হও- মর্তভূমে স্বর্গলোক।